পদত্যাগী মন্ত্রী লাল সিংহ বলেছেন, ‘আমরা যখন মানুষের সঙ্গে দেখা করি, তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে শুধু সেই দাবি পেশ করি। এখন এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হল, আমি পদত্যাগ করাই উপযুক্ত বলে মনে করেছি।’
এ বিষয়ে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বলেছেন, ‘আমাদের দুই মন্ত্রী অবিবেচকের মতো স্থানীয় লোকজনের চাপে প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। আমি এ কথা জানতে পেরেই জম্মু উড়ে আসি এবং দলকে বলি, আমাদের তদন্তকে সমর্থন করা উচিত। রাজ্য সরকার ও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। কংগ্রেস বিষয়টিতে রাজনীতির রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি অভিযোগ করছি, জম্মুতে বিক্ষোভের পিছনে কংগ্রেস ছিল।’
পিডিপি-বিজেপি জোটে এই ঘটনার প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করে মাধব বলেছেন, ‘জোটে কোনও সমস্যা নেই। আমরা মেহবুবা মুফতিজির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তিনি মনে করেন, মন্ত্রীদের বিষয়ে বিজেপি-র একটি অবস্থান নেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীও আমাদের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে মানুষকে বার্তা দেওয়ার কথা বলেছেন।’
যদিও পিডিপি নেতা নিজামুদ্দিন ভাট জোটে ভাঙন ধরার সম্ভাবনার কথাই বলেছেন। তাঁর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি নেতাদের কট্টরপন্থী ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবের ফলে কাশ্মীর নিয়ে পিডিপি-র প্রত্যাশা ধাক্কা খাচ্ছে। নয়াদিল্লির মনোভাবের ফলেই দু’দলের জোটের উদ্দেশ্য সাধিত হচ্ছে না।’