গাঁধীনগর: ২ বছর আগে গুজরাতের উনায় ‘গোরক্ষক’-দের হাতে নিগৃহীত দলিতরা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলেন। তাঁদেরই সঙ্গে বৌদ্ধ হলেন গুজরাতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতিনেক দলিত নারী পুরুষ। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপির দলিত বিধায়ক প্রদীপ পারমার।


গির সোমনাথ জেলার উনা শহরের কাছে মোটা সামাধিয়ালা গ্রামে হল এই অনুষ্ঠান। বৌদ্ধ হলেন বালু সুরভাইয়া, তাঁর স্ত্রী কুনভার, দুই ছেলে ভাসরাম ও রমেশ, পুত্রবধূ মনীষা ও সোনাল। তাঁদের আত্মীয় অশোক, বেচার সহ বেশ কয়েকজনও বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করলেন। তবে গুজরাত ধর্মচারণের অধিকার আইন অনুযায়ী এই ধর্মান্তর তখনই গণ্য হবে যখন জেলা কালেক্টরের সামনে নিজেদের বৌদ্ধ পরিচয় দিয়ে নাম রেজিস্ট্রি করবেন তাঁরা।

২০১৬-র জুলাই মাসে মোটা সামাধিয়ালা গ্রামে মৃত গরুর চামড়া ছাড়ানোর সময় ভাসরাম, রমেশ, অশোক ও বেচারকে ‘গোরক্ষক’-রা মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁদের বাঁচাতে গেলে আরও কয়েকজনকে মারধর করে তারা। এরপর উনা শহরে নিয়ে যাওয়া হয় বাসরাম, রমেশ, অশোক ও বেচারকে, একটি গাড়িতে বেঁধে সকলের সামনে চাবুক মারা হয় বলে অভিযোগ। ভাইরাল হয়ে যায় এই ঘটনার ভিডিও।

পরে পুলিশি তদন্তে জানা যায়, নিগৃহীতরা নন, সিংহ শিকার করে গরুটিকে।

ধর্মান্তরণের সময় হাজির ছিলেন বিজেপি বিধায়ক প্রদীপ পারমার। তিনি বলেন, বিজেপি তাঁকে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দিয়েছে ঠিকই তবে বি আর অম্বেডকর সংবিধানে সংরক্ষণের কথা ঘোষণা না করলে তিনি বিধায়ক হতে পারতেন না।