পূর্ব দিল্লির সাংসদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি চমৎকার, নয়নাভিরাম রাম মন্দির হবে, এটা সব ভারতবাসীরই স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে দীর্ঘদিনের জটিলতার চিরতরে অবসান হয়েছে। এতে ঐক্য ও শান্তি ফেরার পথ সুগম হবে। সেই লক্ষ্যেই আমার নিজের ও পরিবারের তরফে এই সামান্য অবদান।
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারীর আবহে লকডাউনের মধ্যেই অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সরকার মন্দির গড়ার ব্যাপারে ট্রাস্টও বানিয়েছে। এবার শুরু হয়েছে সারা দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ অভিযান। ইতিমধ্যেই স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা। ২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ডোনেশন দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি, বিহারের রাজ্যপাল ফাগু চৌহান, এমনকী কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা দিগ্বিজয় সিংহ। দিগ্বিজয় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকার চেক পাঠিয়েছেন। ৩৬ থেকে ৪০মাসের মধ্যে রামমন্দির নির্মাণ সম্পন্ন হতে পারে বলে জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট।
দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা তহবিল সংগ্রহ কর্মসূচির আহ্বায়ক কুলজিৎ চাহাল বলেছেন, ১০, ১০০ ও ১০০০ টাকার কুপন বিলি করে যত গুলি বাড়ি থেকে সম্ভব চাঁদা তুলবেন তাঁরা। ১০০০ টাকার ওপর ডোনেশন নেওয়া হবে চেকের মাধ্যমে। রামমন্দিরের সঙ্গে নিজেদের গভীর আবেগ, মানসিক যোগ আছে, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বলে জানান তিনি। বলেন, এঁরা ১ কোটি বা তার বেশি অর্থ দিতেও আগ্রহী।
প্রসঙ্গত, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্যরা সহ নানা গেরুয়া সংগঠন জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তোলার অভিযানে সামিল হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়িকর দরজায় দরজায় ঘুরে অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু হবে বলে জানান চাহাল।
প্রসঙ্গত, গম্ভীর এর আগে নানা সামাজিক কাজে সক্রিয় ভাবে নিজেকে জড়িয়েছেন।