পানাজি: গোয়া কংগ্রেসের ১০ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গেরুয়া শিবিরের বর্তমান নীতির তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের ছেলে উৎপল। তাঁর মতে, বাবার মৃত্যুর পর রাজ্যে গোয়া বিজেপি ‘উল্টো পথে’ চলছে। এদিকে, এর মধ্যেই দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত। মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পর গত মে মাসে ওই আসনের উপ-নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে লড়ার কথা ছিল উৎপলের। কিন্তু, বিজেপি তাঁকে টিকিট না দেওয়ায়, কংগ্রেসের আতানাসিও মনসেরেট ওই আসনে জিতে যান।
বুধবার, মনসেরেট সহ ১০ কং বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন। এই প্রসঙ্গে উৎপল বলেন, মনোহর পর্রীকরের আমলে বিশ্বাস ও দায়বদ্ধতা বিজেপির নীতির মূলে ছিল। কিন্তু, ১৭ মার্চ তাঁর মৃত্যুর পর সেই নীতিও আজ অবলুপ্ত। দল এখন উল্টো পথ বেছে নিয়েছে। একমাত্র সময়ই বলবে, তা ঠিক না ভুল। যদিও, একইসঙ্গে, তিনি জানিয়ে দেন, এত কিছুর পরও তিনি বিজেপিতেই থাকবেন এবং দলের প্রবীণ নেতাদের সহায়তা করবেন। অন্যদিকে, মনসেরেটর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি উৎপল। বলেন, যা বলার দলের কর্মীরা বলবেন।
এদিকে, ১০ কং বিধায়কের যোগ দেওয়ার পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন গোয়া মুখ্যমন্ত্রী। দুজনের মধ্যে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস দলত্যাগীদের জায়গা করে দিতে মন্ত্রিসভায় কোপ পড়তে পারে শরিক দলের কয়েকজন মন্ত্রীর, যাদের ভরসায় সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। ১০ কং বিধায়কের যোগদানের পর, গোয়া বিধানসভায় বিজপির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭। ফলে, এখন গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি ও নির্দলদের সমর্থনের প্রয়োজন নেই বিজেপির।
এদিকে, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকর সহ দলের ১০ বিধায়ক একসঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা এ চেল্লাকুমারকে গোয়ায় পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগ এনে কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়েছে। যদিও, দলত্যাগীদের দাবি, তাঁরা স্বেচ্ছায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।