মুম্বই: অবশেষে উদ্ধব ঠাকরের মান ভাঙাতে সক্ষম হলেন অমিত শাহ। অন্তত খবর এমনটাই। গতকাল রাত পৌনে আটটা নাগাদ শিবসেনা প্রধানের বাসভবন মাতোশ্রীতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি। শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ ও লোকসভা ভোটে আসন ভাগ নিয়ে।

বিজেপির সবথেকে পুরনো শরিক শিবসেনা বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের ওপর রুষ্ট। পালঘর বিধানসভা ভোটে দুদল মুখোমুখি লড়েছে, এমনকী লোকসভা ভোটে আলাদা লড়বে বলেও হুমকি দিয়েছিল সেনা। এতদিন তাতে খুব একটা পাত্তা না দিলেও উপনির্বাচনে একের পর এক হারের পর সিঁদুরে মেঘ দেখা বিজেপি দ্রুত ক্ষুব্ধ শরিকের মান ভাঙাতে নেমে পড়ে। অমিত শাহ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন, শুধু ২০১৯ নয়, ২০১৪-এও একসঙ্গে লড়বে সেনা-বিজেপি। তারপরেই ক্ষুব্ধ শরিকের মান ভাঙাতে মাতুশ্রীতে গিয়ে সাক্ষাৎ।





বৈঠকে অমিত শাহ ও উদ্ধব ঠাকরে ছাড়াও ছিলেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্য ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। ঠিক হয়েছে, আগামী দিনেও তাঁদের মধ্যে আরও কয়েকটি বৈঠক হবে।

দুই দলই দাবি করেছে, বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। উদ্ধব নাকি আগের থেকে একটু নরম হয়েছেন। অমিত তাঁর সঙ্গে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারে শিবসেনার যোগদান, লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

গতকাল এক মরাঠি চ্যানেলে অমিত শাহ বলেন, শিবসেনার যা অসন্তোষ আছে, তা দূর করবেন তিনি। ২০১৯-এ শুধু নয়, ২০২৪-এও তাঁরা একসঙ্গে লড়বেন। বিরোধীরা যতই জোট বাঁধুক, তাতে কিছু যায় আসে না।

চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপিও বিজেপির হাত ছেড়েছে।  বিহারে আসন সমঝোকতা নিয়ে জেডিইউ ও এলজেপির সঙ্গে বিজেপির ঝামেলা চলছে। লোকসভা ভোটের আগেই নারাজ শরিকদের মান ভাঙানোর চেষ্টায় নেমেছেন বিজেপি সভাপতি।