কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ফসলের দেড় গুণ দাম পাবেন তাঁরা। রাজস্থান ভোটের জন্য ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেনি কংগ্রেস। তাই নিজেদের ঘোষণাপত্র প্রকাশের সময় বসুন্ধরা বলেন, এই ক্ষেত্রেও বিজেপি কংগ্রেসকে পিছনে ফেলেছে।
এই ঘোষণাপত্রের নাম রাজস্থান গৌরব সংকল্প-২০১৮। এতে বলা হয়েছে, ২৫০ কোটি টাকার স্টার্ট আপ ফান্ড দেওয়া হবে গ্রামগুলিকে। আগামী ৫ বছরে তৈরি হবে ৫০ লাখ বেসরকারি ক্ষেত্র, যেখানে উপার্জনের সুযোগ পাবেন যুবক যুবতীরা। সরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া হবে ১ লাখ কোটি টাকা, সেচের জন্য খরচ করা হবে ৩৭ হাজার কোটি ও ২ লাখ হেক্টর জমিতে নতুন করে সেচ যোজনা শুরু হবে। সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত যুক্ত করা হবে ১০৮টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে। মাপা হবে সুখের সূচক বা হ্যাপিনেস ইনডেক্স। সেনাতে যোগদান শিবিরের তারিখ পড়ার তিন মাস আগে থেকে তরুণদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য খোলা হবে প্রশিক্ষণকেন্দ্র।
বসুন্ধরার দাবি, কাজের হিসেবে গত ৫ বছরে ৯৫ শতাংশ প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছেন তাঁরা। ছাত্রীদের দেওয়া হয়েছে স্কুটি, ২.২৫ লাখ মানুষ সরকারি চাকরি পেয়েছেন। অরুণ জেটলির বক্তব্য, এই ঘোষণাপত্র রাজস্থানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথনির্দেশিকা। দেশে উন্নয়ন যখন হয়, তখন নির্দিষ্ট কোনও ক্ষেত্রে নয়, তার চিহ্ন দেখা যায় প্রতিটি শহর, প্রতিটি গ্রামে। আর এই উন্নয়ন বজায় থাকলে সরকারের কোষাগারও ভরে ওঠে।
রাজস্থান বিধানসভায় মোট ২০০টি আসনে ৭ ডিসেম্বর হবে ভোট। গণনা হবে ১১ ডিসেম্বর।