নয়াদিল্লি: দেশের সবচেয়ে বড়লোক পার্টি বিজেপি। ২০১৬-২০১৭ অর্থবর্ষে তারা মোট ১০৩৪.২৭ কোটি টাকা আয় দেখিয়েছে। দিল্লির অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) তাদের রিপোর্টে এই তথ্য দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের সাতটি জাতীয় রাজনৈতিক দল ওই আর্থিক বছরে মোট ১৫৫৯.১৭ কোটি টাকা আয়ের হিসাব দিয়েছে। বিজেপির আয় সব রাজনৈতিক দলগুলির ঘোষিত আয়ের ৬৬.৩৪ শতাংশ।
অনেক পিছনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। তাদের আয়ের পরিমাণ ২২৫.৩৬ কোটি টাকা, যা সাতটি রাজনৈতিক দলের ঘোষিত মোট আয়ের ১৪.৪৫ শতাংশ।


রাজনৈতিক দলগুলির চলতি অর্থবর্ষের আয়কর রিটার্নে দাখিল করা হিসাবে এই তথ্য রয়েছে।

আয়ের নিরিখে সবার শেষে রয়েছে সিপিআই। তাদের আয় হয়েছে ২.০৮ কোটি টাকা, যা সব দলের মোট আয়ের মাত্র ০.১৩ শতাংশ।
২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭র মধ্যে বিজেপির আয় ৫৭০.৮৬ কোটি থেকে ৮১.১৮ শতাংশ বেড়ে ১০৩৪.২৭ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের আয় একই সময়ে ২৬১.৫৬ কোটি থেকে ১৪ শতাংশ কমে হয়েছে ২২৫.৩৬ কোটি টাকা।

দিল্লির ওই থিঙ্কট্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোট ১২২৮.২৬ কোটি টাকা খরচ দেখিয়েছে সাত রাজনৈতিক দল।

২০১৬-১৭য় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে বিজেপি-৭১০.০৫ কোটি টাকা। কংগ্রেসের খরচের পরিমাণ ৩২১.৬৬ কোটি টাকা, যা তাদের মোট আয়ের থেকে ৩২১.৬৬ কোটি টাকা বেশি।

রিপোর্টে প্রকাশ, বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) মোট আয়ের ৭০ শতাংশ, বিজেপি ও সিপিআইয়ের সামগ্রিক আয়ের ৩১ শতাংশ ও সিপিএমের মোট আয়ের ৬ শতাংশ খরচ হয়নি ২০১৬-১৭ য়।
২০১৬-১৭য় বসপার মোট আয় ১৭৩.৫৮ কোটি টাকা, ব্যয় ৫১.৮৩ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬য় মায়াবতীর দলের আয় ছিল ৪৭.৩৮ কোটি টাকা। অর্থাত্ আয় বেড়েছে ২৬৬.৩২ শতাংশ।
৮৮.৬৩ শতাংশ আয় বেড়েছে এনসিপি-র। ২০১৫-১৬য় তাদের আয় হয়েছে ৯.১৩৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭য় হয়েছে ১৭.২৩৫ কোটি টাকা।
রিপোর্টের আরও তথ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের আয় ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৬-১৭য় কমেছে ৮১.৫২ শতাংশ। সিপিএমের আয় কমেছে ৬.৭২ শতাংশ।

বিজেপি, কংগ্রেস দুদলই জানিয়েছে, তাদের আয়ের তিনটি মূল উত্সের মধ্য়ে আছে ডোনেশন বা অন্যান্য আর্থিক সাহায্য।

২০১৬-১৭য় বিজেপি সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে ভোট বা রুটিন প্রচারে। সেই খাতে খরচ হয়েছে ৬০৬.৬৪ কোটি টাকা। অফিস চালানোর খরচ ৬৯.৭৮ কোটি টাকা।
ভোটে প্রচারে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে কংগ্রেসও-১৪৯.৬৫ কোটি টাকা। অফিস চালানো, অন্যান্য খাতে তারা ঢেলেছে ১১৫.৬৫ কোটি টাকা।