নয়াদিল্লি: গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন থেকে পালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করিয়ে যাতে ভোটারদের আকৃষ্ট করা যায়, সেজন্য শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত ভোট পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। এমনই অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে গুজরাতে অবিলম্বে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে মডেল আচরণবিধি কার্যকর করার দাবি করেন কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ তেওয়ারি।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপির নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার প্রয়াসে কেন অকারণে নিজেকে জড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন? কমিশনের সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব পালন করা উচিত।

তেওয়ারি বলেন, আমাদের দাবি, কমিশন এখনই গুজরাতে নির্বাচন ঘোষণা করে মডেল আচরণবিধি চালু করে দিক যাতে গুজরাতে চরম প্রতারণা, চাতুরি চলছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা বন্ধ হয়।

পতিদার সংগঠনের এক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁকে এজন্য ১ কোটি টাকার অফার দেওয়া হয়েছে বলে যে দাবি করেছেন, সে ব্যাপারেও তদন্ত দাবি করেন তিনি।

কংগ্রেস কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় যে সমালোচনা চলছে,তার পাল্টা আরেক দলীয় মুখপাত্র পি চিদম্বরম ট্যুইট করেন, নাগরিকরা তবে কি করবেন, কমিশনের কাছে প্রার্থনা? তিনি বলেন, গুজরাত রাজ্যসভা ভোটের গণনা শুরুর আগে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেস। মাত্র একবারই গণনা হয়েছিল, পুনর্গণনা হয়নি। কমিশনকে প্রশ্ন করুন।

আবার তেওয়ারি গুজরাতে ক্ষমতায় ফেরা কঠিন জেনে বিজেপি 'মরিয়া' হয়ে উঠেছে বলে জানিয়ে অভিযোগ করেন, শাসক দল পেশীশক্তি, অর্থশক্তি ব্যবহার করা সহ যাবতীয় চেষ্টা চালাচ্ছে, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যে কোনও উপায়ে গুজরাত দখলে রাখতে রাজধানীতে কার্যত দিল্লি থেকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন গাঁধীনগরে।

কমিশনের তরফে অভিযোগের যে জবাব দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তেওয়ারির মন্তব্য, ওরা যা বলেছে, সেটা তো রকেট সায়েন্স নয়। কিন্তু আসল প্রশ্নটা হল, কেন কমিশন বরাবর মেনে চলা প্রথা থেকে সরে এল যে, হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাতের ভোটে পিঠোপিঠিই হয়ে থাকে। কেন গুজরাতে ভোটের দিন ঘোষণা হল না, মডেল আচরণবিধিও চালু হল না?