নয়াদিল্লি: বাজেট অধিবেশনের ঠিক আগে বিরোধী কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে তৎপর বিজেপি। এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার বিজয় মাল্য। শাসক দলের অভিযোগ, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের বিপুল পরিমাণ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার দুর্নীতির নেপথ্যে প্রাক্তন মনমোহন সিংহ এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের ‘হাত’ ছিল।
এপ্রসঙ্গে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মাল্যর কিছু চিঠিকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি, যেখানে তিনি লোকসানে চলা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের পুনরুজ্জীবনের জন্য ঋণ অনুমোদন করাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদন করেছিলেন। এদিন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর থেকে জবাবদিহি চান এই মর্মে যে, কার তদ্বিরে খেলাপকারী সংস্থাকে ঋণ প্রদান করা হয়েছিল।
এখানেই থেমে না থেকে বিজেপির তরফে আরও অভিযোগ করা হয়, কীভাবে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব গোটা বিষয়টির ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছিল। সম্বিতের দাবি, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পুলক চট্টোপাধ্যায় কার্যত মনমোহন সিংহের টেবিল থেকে মাল্যর ফাইল ‘ছিনিয়ে’ চলে যেতেন ১০ জনপথে।
সম্বিতের আরও দাবি, পরে আরও একটি চিঠি মনমোহনকে লেখেন মাল্য। সেখানে কেন্দ্রের ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নিজেকে ‘নিশ্চিন্ত’ এবং ‘খুশি’ বলে অভিহিত করেন। ইউপিএ জমানার দুই শীর্ষ মন্ত্রী মনমোহন-চিদম্বরমকে একহাত নিয়ে বিজেপি অভিযোগ করে, মাল্যর ঋণের নেপথ্যে কার হাত ছিল, এখন তা স্পষ্ট। কাউন্টার অ্যাটাকে নামতে দেরি করেনি কংগ্রেস। চিদম্বরমের প্রশ্ন, বিজয় মাল্যকে কারা পালাতে দিয়েছে? মাল্যকে রাজ্যসভার সাংসদ পদ দেওয়ার সময় কেন বিজেপি চুপ ছিল বলেও এদিন পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস।
গত শীতকালীন অধিবেশনের মত আসন্ন বাজেট অধিবেশনেও নোট বাতিলকে হাতিয়ার করে সংসদ উত্তাল করতে পারে বিরোধীরা। এটা বুঝে এখন পাল্টা আঘাতের কৌশল নিয়েছে শাসক দল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের মতে, তাই ঠিক বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন বিজয় মাল্যর চিঠি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে হাওয়া এখন থেকেই গরম করার কাজে নেমে পড়েছে বিজেপি।