নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড দখলে এসেছে। দল সরকার গড়েছে গোয়া, মনিপুরে। অর্থাত সেমিফাইনালে জয় এসেছে। এবার টার্গেট ফাইনাল অর্থাত ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-রা। ৫ রাজ্যের ভোটের পর সংসদীয় দলের প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ঢুকতেই উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গোটা বৈঠকে ছিল উচ্ছ্বাসের মুড।


পরস্পরকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন জানানোর পালা। তার মধ্যেই ২০১৯-এর ভোটযুদ্ধ সামনে রেখে দল কী ভাবে এগবে, তার সুর বেঁধে দিতে গিয়ে মোদী ২৬ মে কেন্দ্রের সরকারের তিন বছর পূর্তিতে মানুষের কাছে পৌঁছতে ৭২ ঘণ্টা সময় দিতে নির্দেশ দেন নেতা-মন্ত্রীদের। জানান, ৬ এপ্রিল বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে ১৪ এপ্রিল ভিমরাও অম্বেডকরের জন্মবার্ষিকী অর্থাত্ এক সপ্তাহ ধরে নানা কর্মসূচি নিতে হবে। তিনি স্পষ্ট মন্তব্য করেন, আমি নিজেও  বিশ্রাম নেব না, আপনাদেরও নিতে দেব না।

এবার উত্তরপ্রদেশের ভোটে দলিতরা বিজেপিকে বিপুল সমর্থন করেছেন বলে ফলাফলে ইঙ্গিত পাওয়ার পর তাদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে এক সপ্তাহের কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার।

পাশাপাশি দলীয় নেতাদের ওই সময়ে ডিজিট্যাল পেমেন্ট সংক্রান্ত ভিম অ্যাপ, তার ব্যবহার সম্পর্কে মানুষের কাছে ব্যাপক প্রচার চালাতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দলীয় নেতাদের বলেন, এই অ্যাপ মহাজনের কবল থেকে ছোট ব্যবসায়ীদের মুক্ত করবে, সামাজিক রূপান্তরের হাতিয়ার হতে পারে এটি। যারা এই অ্যাপ ব্যবহার করবেন, তাদের ইনসেন্টিভ দেওয়া হবে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক কার্যকলাপ, সুশাসনের বার্তা প্রচারে দেশের যুবসমাজকে দূত, প্রতিনিধি হিসাবে কাজে লাগাতেও দলীয় নেতাদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। যুবকরা খবর জানার জন্য সংবাদপত্রের চেয়ে বেশি মোবাইল ব্যবহার করে বলেও মন্তব্য করেন।