মিরাট: আগামী লোকসভা ভোটে জিতে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে হলে দলকে সরকার, দলীয় সংগঠনে আমূল রদবদলের সুপারিশ করলেন দলের প্রবীণ নেতা সঙ্ঘপ্রিয় গৌতম যিনি বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। ৮৮ বছরের প্রবীণ নেতার মত, বিজেপি সভাপতি করা হোক মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে, উপপ্রধানমন্ত্রী করতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরীকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করা হোক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে। এগুলি না করলে নরেন্দ্র মোদির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিরে আসা কঠিন হবে বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
তেলঙ্গানা, মিজোরামে ভাল ফল না হওয়ার পাশাপাশি হিন্দি বলয়ের ৩ রাজ্যে সাম্প্রতিক বিধানসভা ভোটে বিজেপি ক্ষমতা হারানোর প্রেক্ষিতে তাঁর যুক্তি, দল রক্ষা করতে ও ক্যাডারদের চাঙ্গা করতে সরকার সংগঠনে বদল ঘটানো প্রয়োজন। দল ও সরকারের ‘হতাশাজনক পারফরম্যান্সের’ পিছনে কয়েকটি কারণের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের কথা বলা, যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্ট, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সিবিআইয়ের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করা ও আর্থিক ক্ষেত্রে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। পাশাপাশি গোয়া, মনিপুরে সরকার গঠনের জন্য ঘোড়া কেনাবেচায় ইন্ধন দেওয়া, উত্তরাখন্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন চাপিয়ে দেওয়া, কর্নাটকে একদিনের জন্য সরকার গড়া অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। জানান, এসব নিয়ে ডিসেম্বরেই দলকে তিনি খোলা চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও কালো টাকার মতো সমস্যা উপেক্ষা করে ধর্ম, ‘মন্দির-মসজিদ রাজনীতি’কে হাতিয়ার করায়, শহরের নাম বদলানোয়, গোরক্ষার নামে হিংসা মাথাচাড়া দেওয়ার ফলে মানুষ দলের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন বলেও লেখেন তিনি।
গৌতম বলেছেন, বিজেপির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন, মোদির ফের প্রধানমন্ত্রী হওয়া দরকার। কিন্তু সেজন্য দল ও সরকারে বদলগুলি করাও প্রয়োজন। এতে কর্মীদের মনে ভরসা, বিশ্বাস বাড়বে।