নয়াদিল্লি: ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। ২৮২টি আসন জিতেছিল মোদী হাওয়ায় ভর করে। আর আগামী সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তেলঙ্গানা, ওড়িষার মতো রাজ্যে ভাল ফলের জোরে তার চেয়ে বেশি আসন পাবে বলে দাবি করলেন অমিত শাহ। নানা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এক 'মহান দেশ' হয়ে উঠবে বলেও অভিমত জানান বিজেপি সভাপতি।


গত তিন বছরে ভারতের আত্মবিশ্বাস, অহংকার, আশা-আকাঙ্খার পারদ বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলি জাতপাত, পারিবারিক শাসন ও বিশেষ সম্প্রদায়কে তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেও তুমুল সমালোচনা করেন তাদের।

কেন্দ্রের ১০ বছরের ইউপিএ শাসন ও বর্তমান এনডিএ সরকারের তুলনা টেনে অমিত বলেন, আগের সরকারের আমলে প্রতি মাসেই একটা করে কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি ফাঁস হত, আর মোদী সরকারের বিরোধীরা পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র কেলেঙ্কারির অভিযোগও তুলতে পারেনি।

তিনি কটাক্ষ করেন, আগের জমানায় প্রত্যেক মন্ত্রীই ছিলেন একজন প্রধানমন্ত্রী, আসল প্রধানমন্ত্রীকে গুরুত্বই দিতেন না কেউ। কিন্তু বিজেপি সরকারের সবচেয়ে বড় শক্তি হল, তারা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়, প্রধানমন্ত্রীর অফিসের (পিএমও) মর্যাদাও পুনরুদ্ধার করেছে তারা।

ভারতের অর্থনীতি সারা দুনিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে বলেও জানান বিজেপি সভাপতি। বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জিডিপি চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র।

পাশাপাশি তিনি এও বলেন, জাতীয় রাজনীতি অনেকাংশে বদলাতেও সফল আমরা। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে স্পষ্ট, জাতপাত, পরিবারতন্ত্র ও তোষণের রাজনীতির অবসান ঘটেছে।

২০১৯-এর ভোটে কংগ্রেস না আঞ্চলিক দলগুলি, কারা বিজেপির সামনে বৃহত্তর বিপদ হতে পারে, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নির্বাচনের এখনও দু বছর বাকি। যে কোনও দলই বড় শক্তি হতে পারে। তবে আমাদের শক্তি বাড়বেই, আমি নিশ্চিত।