যোধপুর: যোধপুর সেশনস কোর্টে শুক্রবারও জামিন পেলেন না সলমন খান। শনিবার এ ব্যাপারে রায় দেবে আদালত। ফলে শুক্রবার রাতটাও তাঁকে জেলেই কাটাতে হবে। এদিনই আবার বদলি হলেন জোধপুর সেশনস কোর্টের বিচারক রবীন্দ্র কুমার জোশী।


কৃষ্ণসার শিকার কাণ্ডে গতকাল রাতটা যোধপুরের জেলে কাটালেন ভাইজান। জেলে তিনি কয়েদি নম্বর ১০৬। ২ নম্বর ব্যারাকের ২ নম্বর সেলে রয়েছেন তিনি।

এবার দেখে নেওয়া যাক, গত রাতটা কীভাবে কাটল সলমনের। তাঁকে রাখা হয় যৌন নির্যাতনে সাজাপ্রাপ্ত আসারাম বাপুর পাশের সেলে। রাতে খেতে দেওয়া হয় ছোলার ডাল, বাঁধাকপির ঘ্যাঁট আর রুটি কিন্তু সলমন তা ছোঁননি। শোয়ার জন্য ৪টি কম্বল দেওয়া হয় তাঁকে। জেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাতে মেঝেতেই শুয়েছেন বলিউডের ভাইজান। প্রথম দিকে নাকি তাঁর রক্তচাপ বেড়ে যায়, পরে অবশ্য স্বাভাবিক হয়ে যায়।

আজ সকালে তাঁকে খেতে দেওয়া হয় ছোলা, গুড় ও এক কাপ চা।

কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় নিম্ন আদালতে সলমনের ৫ বছর জেল হওয়ার পর তাঁর আইনজীবীরা সময় নষ্ট না করে জামিনের জন্য দ্রুত আবেদন করেন যোধপুর সেশনস কোর্টে। এর ওপর আজ বেলা সাড়ে দশটা থেকে শুনানি হওয়ার কথা।

১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ে এসে যোধপুরের কাঙ্কাণি গ্রামে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সলমন। ২০ বছর পর অবশেষে সেই অপরাধে তাঁর ৫ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। যদিও অন্য ৪ অভিযুক্ত সেফ আলি খান, নীলম, তব্বু ও সোনালি বেন্দ্রে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।