রাজগড়: সংস্কৃত পরীক্ষার উত্তরপত্রে সে লিখেছিল, ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছে। এখন মৃত্যুই একমাত্র রাস্তা। না মরলে অ্যাডমিনরা ভয় দেখাচ্ছে, তার বাবা মাকে মেরে ফেলবে। সংস্কৃত শিক্ষিকা সেই লেখা পড়ে পুলিশে খবর দেন। একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার দশম শ্রেণির ওই ছাত্র।


এ দেশে এখনও পর্যন্ত ১২টিরও বেশি শিকার ধরেছে নীল তিমি। রাজগড়ের খিলচিপুর এলাকার উৎকর্ষ স্কুলের ছাত্রটিও এই সংখ্যায় সংযোজিত হত শুধু। কিন্তু সে তার স্কুলের সংস্কৃত উত্তরপত্রে লেখে, গত ২ মাস ধরে সে ব্লু হোয়েল খেলছে। গেমের ৪৯টি ধাপ সারা। এবার চূড়ান্ত ধাপ। তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে আত্মহত্যা করতে না হলে মেরে ফেলা হবে বাবা মাকে।

সংস্কৃত শিক্ষিকা হেমলতা শৃঙ্গী স্কুল ও জেলা প্রশাসনকে খবর দেন, জানান ছেলেটির বাবা মাকেও। প্রশাসন জানিয়েছে, ছেলেটি এখনও শক কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তবে বাবা মায়ের সঙ্গে কাউন্সেলিং চলছে তার। সে কথা দিয়েছে, আর কখনও ব্লু হোয়েল খেলবে না।