মুম্বই: বৃহন্মুম্বই পুরনিগম ভোটে কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। শিবসেনা জিতেছে ৮৪টি ওয়ার্ড, ৮২টি ওয়ার্ড জিতে তাদের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে সমমনস্ক দুই দল ইগো ভুলে ফের জোটের পথে হাঁটবে বলে রাজনীতিক মহল মনে করেছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়িও খোলাখুলি এই হাত মেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু বেঁকে বসেছে শিবসেনা। শোনা যাচ্ছে, বিজেপিকে বাদ দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে তলে তলে কংগ্রেসের সঙ্গে আলাপ চালাচ্ছে তারা।

২২৭ ওয়ার্ডের বিএমসি-তে কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ৩১টি ওয়ার্ড। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যে ভোট চলায় তারা এই মুহূর্তে শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলানোর অবস্থায় নেই। কারণ চিরশত্রু ‘হিন্দুত্ববাদী’ শিবসেনার সঙ্গে হাত মেলালে ভোটে বিরূপ প্রভাব পড়া অবশ্যম্ভাবী। তাই এখন ভোট শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে তারা। তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। যদিও দলীয় নেতাদের দাবি, নীচুতলার কর্মীরা নাকি মনে করছেন, বিজেপির থেকে শিবসেনা ভাল।

শিবসেনার অবশ্য পৃষ্ঠবল একটু হলেও বেড়েছে। ম্যাজিক ফিগার ১১৪ ছুঁতে এখনও দেরি থাকলেও ৩ নির্দল পুর প্রতিনিধি তাদের সমর্থন করায় তারা এখন ৮৭। এই ৩জন শিবসেনাই ছিলেন। তবে ভোটের আগে মন কষাকষির জেরে নির্দল হয়ে লড়েন। ভোটের পর আবার পুরনো দলে ফিরে এসেছেন তাঁরা। সেনা প্রমুখ উদ্ধব ঠাকরে এখনও বলে চলেছেন, মেয়র হবেন তাঁর দল থেকেই। ওদিকে বিজেপিও বলে রেখেছে, বৃহন্মুম্বইয়ের মেয়র বিজেপিরই হবেন। পুরনিগমের কাজকর্মে স্বচ্ছতার দাবি থেকে সরে আসবে না বলেও তারা জানিয়েছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, কোনওভাবেই কংগ্রেসের হাত ধরার প্রশ্ন নেই।

তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, শিবসেনা কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালে আখেরে লাভবান হবে বিজেপি। সম্পূর্ণ ভিন্নমতাবলম্বী দুই দল এভাবে জোট করলে এক সঙ্গে তাদের পক্ষে বেশিদিন মানিয়ে চলা মুশকিল। তা ছাড়া মতাদর্শের সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলালে উভয়েরই ভোট ব্যাঙ্ক ধসে পড়বে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে অন্তর্বর্তী নির্বাচন।