শিলিগুড়ি: পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবি ফের আছড়ে পড়ল রেল লাইনে। আর তার জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হল হাজার হাজার ট্রেন যাত্রীকে। যাদের সঙ্গে এই আন্দোলনের কোনও যোগই নেই।
নিখিল বড়ো ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে তিনটি সংগঠন সোমবার ভোর ৪টে থেকে অসমের চিরাং জেলার বাসুগাঁও স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করে। ধীরে ধীরে বিক্ষোভের আঁচ ছড়াতে শুরু করে অন্যান্য জায়গাতেও। অবরোধ শুরু হয়ে যায় আরও কয়েকটি স্টেশনে। অবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে আপ ও ডাউন লাইনের বহু দূরপাল্লার ট্রেন।
গুয়াহাটিতে আটকে পড়ে ডাউন বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে যায় নিউ বঙ্গাইগাঁওতে। আপ সরাইঘট এক্সপ্রেস নিউ আলিপুরদুয়ারে। ফকিরাগ্রামে আপ কামাক্ষ্যা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। আপ অমরনাথ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে পড়ে ধূপগুড়িতে।
কোকরাঝাড়ে আটকে পড়ে আপ শিফাং প্যাসেঞ্জার। নিউ কোচবিহারে দাঁড়িয়ে যায় গুয়াহাটি-ওখা এক্সপ্রপেস। আপ কামরুপ এক্সপ্রেস আটকে পড়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনে কার্যত বন্দি হয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। এই অবরোধের জেরে চরম হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের। পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবিতে এধরনের অবরোধ-আন্দোলন অবশ্য নতুন নয়। আগেও এধরনের আন্দোলনের শিকার হতে হয়েছে রেলযাত্রীদের। ২০১৩ সালে তো অসমের ডিফু-লামডিং শাখায় প্রায় ছয় কিলোমিটার রেললাইন উপড়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা৷ এদিন সেই আন্দোলন ফের একবার থাবা বসাল রেল লাইনে। দিনভর যাত্রীদের দুর্ভোগ দিয়ে ১০ ঘণ্টা পর ওঠে অবরোধ