নাগপুর: মহারাষ্ট্রের জঙ্গলের একটি মানুষখেকো বাঘিনীকে মারার অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। সংশ্লিষ্ট বাঘিনীটি একাধিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে জখমও করেছে। তাকে আগেই মারার নির্দেশ দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের বনবিভাগ। কিন্তু বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আন্দোলনকারী ড. জেরিল বানাইত বনবিভাগের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর দাবি, ওই বাঘিনীটির বিরুদ্ধে মানুষ হত্যার যথেষ্ট প্রমাণ নেই। হাইকোর্ট বনবিভাগকে জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ পর্ষদের নিয়মানুসারে প্রমাণ পেশ করতে বলে। বনবিভাগ সেই প্রমাণ পেশ করার পরেই বাঘিনীটিকে মারার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। যদিও জেরিল এই রায় মানতে নারাজ। তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন।


বনবিভাগ সূত্রে খবর, টি-২৭-সিইউবি-১ নামে এই বাঘিনীটি এ বছরের জুলাইয়ে প্রথমবার দুই ব্যক্তিকে হত্যা করে এবং চারজনকে জখম করে। এরপরেই চন্দ্রপুর জেলার ব্রহ্মপুরী জঙ্গল থেকে তাকে ধরা হয়। বাঘিনীটিকে ওয়ার্ধা জেলার বোর অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর ফের দু’জনকে হত্যা করে এবং একজনকে জখম করে বাঘিনীটি। সেই কারণেই এ মাসের ৪ তারিখ তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেয় বনবিভাগ। হাইকোর্ট সেই নির্দেশই বহাল রাখল।