এক্ষেত্রে সহমত, সম্মতির ভিত্তিতে দুজনের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে হচ্ছে, অভিমত জানিয়েছেন বিচারপতি গানেডিওয়ালা। বলেছেন, যদি বলপূর্বক যৌন সম্পর্কই হোত, তাহলে দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়ে থাকত। কিন্তু মেডিকেল রিপোর্টে ধস্তাধস্তির জেরে আঘাতের কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি।
তার মা ঘটনার সময় বাড়িতে না ঢুকলে সে এফআইআর দায়ের করত না, নির্যাতিতার এই বিবৃতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিচারপতি।
নির্যাতিতা অভিযোগ করেছিল, তার প্রতিবেশী সূরজ কাসারকর তাদের বাড়িতে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে, জামাকাপড় খুলে তাকে নগ্ন করে জোর করে তার সঙ্গে যৌন সংসর্গ করে। তার মা যে-ই বাড়ি চলে আসেন, সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে।
ঘটনার সময় মেয়েটির বয়স ১৮-র কম ছিল, মামলাকারী পক্ষ তা প্রমাণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আদালত। যদিও মেয়েটির মা ২০১৩-র ২৬ জুলাই জানিয়েছিলেন, নেশার ঘোরে ছেলেটি তাঁর মেয়েকে যখন ধর্ষণ করে, তখন মেয়ের বয়স ছিল মাত্র ১৫।
কিন্তু অভিযুক্তের কৌঁসুলি পাল্টা সওয়াল করেন, নির্যাতনের সময় মেয়েটির বয়স ১৮র বেশি ছিল। সহমতির ভিত্তিতেই তার ও ছেলেটির যৌন সম্পর্ক হয়।
মামলাকারী পক্ষ অভিযোগ প্রমাণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে জানিয়ে বিচারপতি বলেন, নির্যাতিতার বয়ান, সাক্ষ্য ভাল করে পড়লে আদালতের ভরসা তৈরি হয় না, কেননা ঘটনার যেমন বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা যুক্তিসঙ্গত ঠেকে না, কারণ এটা মানুষের স্বাভাবিক আচরণের পরিপন্থী।
সম্প্রতি বিচারপতি গানেডিওয়ালা রায় দেন, শরীর না ছুঁয়ে, জামাকাপড় না খুলে কোনও মেয়ের স্তনে হাত দিলে তা যৌন নিগ্রহ নয়। যৌন নিগ্রহ হতে হলে ত্বকের স্পর্শ হওয়া চাই। আরেকটি রায়ে তিনি জানান, প্রকাশ্যে কোনও মেয়ের হাত ধরা, পুরুষের প্যান্টের চেন খোলাও পকসো আইনে যৌন নিগ্রহের পর্যায়ে পড়ে না।