নয়াদিল্লি: সমস্ত চিনা পণ্য বয়কট করলেই সে দেশকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া যাবে, এভাবেই প্রতিবেশী দেশের ওপর তোপ দাগলেন যোগগুরু বাবা রামদেব।

প্রতি বছর ভারত এবং চিনের মধ্যে ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসায়িক লেনদেন চলে। খেলনা থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, কিম্বা ঘর সাজানোর জিনিসপত্র- চিনে প্রস্তুত সমস্ত সামগ্রীতেই ছেয়ে গিয়েছে ভারতের বাজার। শুধু দিওয়ালিতে আলো এবং বাজিতেই কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা করে চিন। এই পরিস্থিতিতে চিনা জিনিস বয়কট করা হলে বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে চিনের ব্যবসায়ীদের।

সোমবার যোগগুরু বাবা রামদেব বলেন, চিন যা করছে, তা ভারতের একতা, অখণ্ডতা, সার্বভৌমের জন্য বিপজ্জনক। তাই সমস্ত চিনা পণ্য সামগ্রী বয়কটের দাবি জানিয়েছেন তিনি। রামদেব বলেন, গোটা দেশে চিনা সামগ্রী কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। এভাবেই তাদের (চিনকে) উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপুঞ্জে মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি জানায় বেজিং। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত দেওয়া মাত্র চিন ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা নদীর জল ভারতে ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে! এই প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে দাবি উঠছে, চিনকে শিক্ষা দিতে ভারতীয় বাজারে তাদের তৈরি পণ্য বয়কট করা হোক। এই প্রেক্ষিতে খোদ নরেন্দ্র মোদীরই রাজ্য গুজরাত চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সম্প্রতি ফতোয়া জারি করে জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থে আমরা এখন থেকে চিনা পণ্য ব্যবহার করব না।

স্কুল-কলেজগুলিতেও চিনা সামগ্রী বয়কটের আহ্বান জানাতে চলেছে এই বণিকসভা। সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতেও ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে।

এদিকে ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং চিনের প্রেসিডেন্টকে পাশে বসিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরালো করার ডাক দিয়েছেন।