নয়াদিল্লি:  রবিবার রাজধানী দিল্লির ছত্তারপুরে তখন চলছিল পুলিশ ও গ্যাংস্টারের মধ্যে গুলির লড়াই। কিন্তু বন্দুকের গুলির সামনে সহকর্মীর মৃত্যু ঠেকাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন সাব-ইন্সপেক্টর বিজেন্দ্র সিংহ দেশওয়াল। প্রসঙ্গত, ২৫ বছরের গুরদ্বীপ সিংহ, মাত্র তিন মাস আগেই বাবা হয়েছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই বন্দুকের গুলির সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর সহকর্মী ওই এসআই।

 

গুলির লড়াইয়ের সময় একেবারে বুকে গুলি লাগে ওই এসআইয়ের। রাজেশ ভারতী এবং ওই দলেরই আরও তিন সদস্যের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় দিল্লি পুলিশের। গুলির লড়াইয়ে মৃত ওই দলের চার সদস্যও। এদিকে নিজের ছয় সহকর্মীকে হাতে গুলি লাগা অবস্থাতেও হাসপাতালে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান দিল্লি পুলিশের আরও এক সাহসী এসআই রাজ সিংহ। ছয় পুলিশকর্মীকে এইমসে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইদানিংকালের মধ্যে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া কয়েকটি গ্যাংওয়ারের মধ্যে এটা অন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। রাজেশ ভারতী যিনি এই গ্যাংওয়ারের মধ্যে পড়ে মারা গিয়েছেন, সে ছিল দিল্লির মোস্ট-ওয়ান্টেড অপরাধীদের মধ্যে অন্যতম। তার বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, অপহরণের একাধিক মামলা চলছিল। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ লক্ষ। ভারতী ও তার দলের অন্য সদস্যদের ধরতে প্রায় তিরিশজনের একটি পুলিশের দল চন্দন হোলা গ্রামে গিয়েছিল।