গোরক্ষপুর: উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজের বিতর্কিত চিকিৎসক কাফিল আহমেদ খানের ভাই কাসিফ জলিল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ঘটেছে এই ঘটনা। কাসিফ হাসপাতালে ভর্তি তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন বিপন্মুক্ত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কাফিল জানিয়েছেন, যাই ঘটুক না কেন, মাথা নোয়াবেন না।


পুলিশ জানিয়েছে, গোরক্ষপুরের দুর্গাবাড়ি এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। কাসিফ বাড়ি ফিরছিলেন, তখন বাইকে করে ২ জন এসে তাঁর ওপর গুলি চালায়। তাঁর হাত, থুতনি ও ঘাড়ে ৩টি গুলি লাগে। এদিন অস্ত্রোপচার করে তাঁর শরীর থেকে বুলেটগুলি বের করা হয়। কাফিল জানান, বর্তমানে তাঁর ভাই আইসিইউ-তে রয়েছে। তিনি জানান, ২ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী তাঁর ভাইকে গুলি করে চম্পট দেয়।

ভাইয়ের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন কাফিল। তাঁর দাবি, যেখানে ঘটনা ঘটেছে, তার থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই গোরক্ষনাথ মন্দির, যেখানে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেনস এই হল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি। পাশাপাশি, ভাইয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে পুলিশ গড়িমসি করেছে বলেও অভিযোগ করেন কাফিল। বলেন, ঘটনাটি জেপি হাসপাতালের কাছে ঘটলেও, ভাইকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয়।

কাফিল খানের ভাই গুলি খাওয়ায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে উত্তর প্রদেশের আইনি ব্যবস্থা নিয়ে, শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতিও। গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জিগ্নেশ মেভানি টুইট করেছেন, যোগী সরকারের কাছে যখন অক্সিজেনের পয়সা ছিল না তখন যিনি শিশুদের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন সেই চিকিৎসক কাফিল খানকে জেলে ভরে দেওয়া হয়। এখন ওঁর ভাইকে গুলি করা হল। ধন্যবাদ মোদীজি, আপনার আচ্ছে দিনে আমরা পেয়েছি শুধু উসকানিমূলক ভাষণ, হিংসা, রক্তপাত ও গুলি।

কাফিলের ভাই কাসিফ সম্পত্তি কেনা বেচার কাজ করেন। কারা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে এখনও জানা যায়নি। পুলিশের এখনও পর্যন্ত ধারণা, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই হামলা ঘটেছে। যদিও তাঁর আর এক ভাই আদিলের দাবি, তাঁর কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই।

গত বছর বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন সিলিন্ডার কম থাকার কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এই মামলায় ৭ মাস জেল খাটার পর গত  এপ্রিল মাসে জামিন পেয়ে জেলমুক্ত হয়েছেন কাফিল।