হ্যাঁ, ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। পাত্রের নাম অনুভব মিশ্র, পাত্রী প্রিয়ঙ্কা ত্রিপাঠী। বিয়ের কথা হওয়ার আগে থেকে তাঁরা একের অপরকে চিনতেন। দুই পরিবারের মধ্যে উপহার বিনিময় হয়, পালন করা হয় বিয়ের আগের যাবতীয় রীতিনীতি।
বিয়ের আর মাত্র কিছুক্ষণ, তার আগেই ওই নাগিন ডান্স।
মঙ্গলবার রাতে ছিল প্রিয়ঙ্কা-অনুভবের বিয়ে। আনন্দে নাকি বেশ কিছুটা নেশাও করে ফেলেছিলেন অনুভব। শাশুড়ি বরণডালা নিয়ে রেডি, ঠিক কনেবাড়ি ঢোকার দরজায়, নাগিন সং শুনে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না পাত্র। মেঝেয় হাঁটু গেড়ে বসে, সাপের মত হিসহিসিয়ে শুরু করলেন সর্পনৃত্য। বরের বন্ধুরাই বা থেমে থাকবেন কেন, তাঁরা চারপাশ থেকে শুরু করলেন নোটবৃষ্টি।
বরের কাণ্ড দেখে প্রিয়ঙ্কার বান্ধবীরা নির্ঘাত ডেকে এনেছিলেন তাঁকে। দরজায় এসে পরিস্থিতি দেখে ২৩ বছরের কনের মাথায় হাত। তখনই জানিয়ে দিলেন, নাচিয়ে বর তাঁর পছন্দ নয়, এ বিয়ে তিনি করবেন না।
বরপক্ষের বোঝানোর চেষ্টা, হুমকি- কিছুতেই কাজ হয়নি। মারামারি হতে পারে বুঝে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। বেঁকে বসা কনেকে সোজা করতে না পেরে ডিজে সহ বাড়ির পথ ধরেন পাত্র।
প্রিয়ঙ্কার বিয়ে অবশ্য বন্ধ হয়নি, পরদিন অন্য আর এক যুবককে বিয়ে করে নেন তিনি।
অনুভব ঠেকে শিখলেন। শত ইচ্ছে থাকলেও আর কখনও নিশ্চয় তিনি হবু বউকে নেচে দেখাতে যাবেন না!