ভোপাল: একটি গণবিবাহের আসরে প্রায় ৭০০ নববিবাহিত মহিলাকে কাঠের মুগুর উপহার দিলেন মধ্যপ্রদেশের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোপাল ভার্গব। ওই মহিলাদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, স্বামী যদি মদ্যপান করে এসে অত্যাচার করে, তাহলে ওই মুগুর ব্যবহার করতে হবে। উপহার দেওয়া মুগুরের গায়ে লেখা, ‘মদ্যপদের মারার উপহার। পুলিশ কিছু বলবে না।’

মধ্যপ্রদেশে জামা-কাপড় কাচার জন্য এই ধরনের মুগুর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেটাই এবার হয়ে গেল বিয়ের উপহার। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমি যখনই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে যাই, গ্রামের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের মহিলারাও বলেন, স্বামী মদ্যপান করে তাদের উপর অত্যাচার চালায়। মারধর করে মদ খাওয়ার জন্য টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়। একবার এক মহিলা আমাকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি স্বামীর মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়ানোর জন্য তাকে কাঠের তক্তা দিয়ে মারতে পারেন? তাঁর কথা শুনেই মহিলাদের মুগুর উপহার দেওয়ার কথা আমার মাথায় আসে।’

গোপাল জানিয়েছেন, মদ্যপ স্বামীর হাতে অত্যাচারিত মহিলাদের উপহার দেওয়ার জন্য তিনি ১০ হাজার মুগুর কিনেছেন। সমাজে বদল আনা জন্য বিয়েতে মুগুর উপহার দেওয়ার মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছেন না তিনি। কারণ, তাঁর মতে, সরকার বা পুলিশের একার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। ইতিহাস বলছে, মানুষই সমাজে বদল এনেছেন। এবারও মানুষ উদ্যোগ নিলে তবেই মধ্যপ্রদেশে বেআইনি মদ বিক্রি বন্ধ হবে।