আন্তর্জাতিক সীমান্তে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন গুরনাম। এরপর তাঁকেই টার্গেট করে পাকিস্তানের সেনা। তাঁকে লক্ষ্য করে পাক বাহিনী। গুরুতর জখম হন তিনি।
উল্লেখ্য, সীমান্তে পাকিস্তানের গুলি চালনার মুখের মতো জবাব দেয় বিএসএফ। পাক রেঞ্জার্সের সাত কর্মী এবং এক জঙ্গি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিতে মারা যায়।
২৬ বছরের শহীদ গুরনাম যে সাহসিকতার সঙ্গে পাক বাহিনীর মোকাবিলা করেছিলেন, হাসপাতালে সেভাবেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। পাক রেঞ্জার্সদের একটি গুলি তাঁর মাথায় লেগেছিল। ৫০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে গুরনামকে বাঁচানোর সমস্ত চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজে এল না সেই চেষ্টা।
গুরনাম ১৯ ও ২০ অক্টোবরের রাতে যখন জঙ্গিরা পাক বাহিনীর মদতে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল তখন হীরানগর পোস্টে মোতায়েন ছিলেন গুরনাম। গুরনাম ও তাঁর সঙ্গীদের সতর্কদৃষ্টির সামনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে যায়।
গুরনামের দৃঢ়তা ও সাহসিকতায় তাদের ছক বানচাল হয়ে যাওয়ায় তাঁকেই টার্গেট করে পাক বাহিনী।
২০১০-এ বিএসএফ-এ যোগ দিয়েছিলেন গুরনাম।