যদিও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ঘটনাটি জানার পর সাতদিনের বেতন কেটে নেওয়ার শাস্তি মকুব করে দিতে বলেছেন বিএসএফ কর্তাদের। বাহিনীর জনৈক মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে অবিলম্বে সাজা প্রত্যাহার করতে বলেছেন। ফলে আগের নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমান্ডান্টকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না করায় এবারের মতো সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। বাহিনীর সিনিয়র লোকজনকে বারবার বলা হয়েছে, কথায়, কাজে আপনাদের যোগ্য নেতার গুণাবলী দৃষ্টান্ত হিসাবে অধীনস্থ জওয়ানদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
মোদীর নির্দেশের পর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, এই পুরুষ, মহিলা কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করেন। ওদের কমান্ডাররা নিশ্চয়ই বাহিনীতে শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন কিন্তু শাস্তি যেন অপরাধের সঙ্গে মানানসই হয়। অর্থাত বেতন কেটে নেওয়ার নির্দেশ যে সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এই প্রথম বিতর্কে জড়ালো না বিএসএফ। গত বছর জানুয়ারিতে বরখাস্ত করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর কনস্টেবল তেজ বাহাদুর যাদবকে, তিনি একাধিক ভিডিও পোস্ট করে জওয়ানদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ তোলার পর।