বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ কাঠুয়ার হীরানগরে ভারতীয় চৌকির ওপর হামলা শুরু করে পাক রেঞ্জার্স। স্নাইপার আক্রমণ চালায় তারা। গুলিতে জখম হন গুরনাম সিংহ নামে এক কনস্টেবল। গুলি চালাতে চালাতে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে সঙ্কটজনক অবস্থায় বের করে নিয়ে গিয়ে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। তবে মুখ বুজে না থেকে পাল্টা হামলা চালায় বিএসএফ। তাতেই প্রাণ হারায় সাত পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। বিএসএফের দাবি, এক জঙ্গিও তাদের গুলিতে নিহত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, পাক বাহিনীর সদস্যদের মারা যাওয়ার খবরটি সে দেশের এক মিডিয়া সংস্থা সম্প্রচার করেছে বলে সূত্র মারফত জানতে পেরেছে তারা। ওই মিডিয়া সংস্থাটি ৫ জনের মৃত্যুর কথা সম্প্রচার করছে বলে জানিয়েছে বিএসএফের ওই সূত্রটি।
হীরানগরেই গতকাল ৪ থেকে ৬ জন জঙ্গির ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ করেছে বিএসএফ। পিছন থেকে পাক সেনা গুলি চালিয়ে তাদের ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মাঝরাতে ববিয়ান গ্রামে এই অনুপ্রবেশ অভিযান রুখতে বিএসএফ জওয়ানরা গুলি চালালে এক জঙ্গি জখম হয় বা মারা যায়। বিএসএফ জওয়ানদের নজরে পড়ে, একজনের দেহ নিয়ে চলে যাচ্ছে জঙ্গিরা।
এদিনও পাক রেঞ্জার্স বাহিনী কাঠুয়ার হীরা নগর সেক্টরে ববিয়া ও জম্মুর আখনুর সেক্টরের পারগওয়াল বেল্টে দুবার সংঘর্ষবিরতি ভেঙে গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। আমরাও মুখের মতো জবাব দিচ্ছি, ওদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বিএসএফের আইজি (জম্মু) ডি কে উপাধ্যায়। পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের যে কোনও আক্রমণ রুখে দেওয়ার জন্য তাঁদের জওয়ানরা সতর্ক, তৈরি রয়েছেন বলেও জানান তিনি। বলেন, এমন সাবধানী, সদাসতর্ক মনোভাবের জন্যই অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এদিকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো এক্ষেত্রেও পাকিস্তান ক্ষয়ক্ষতি মানতে অস্বীকার করেছে। পাক সেনার দাবি, বিএসএফের গুলিচালনায় তাদের তরফে কোনও প্রাণহানি হয়নি।