বাহিনীর ডিআইজি ধর্মেন্দ্র পারিক বলেন, সকাল থেকে রামগড় ও আরানিয়া সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় পাক রেঞ্জারদের গুলিবর্ষণ ও শেলিং হামলার জবাবে আন্তর্জাতিক সীমান্তে একেবারে পরিকল্পনামাফিক জবাব দিয়েছে বিএসএফ। একই সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর তারাও পাক রেঞ্জারদের চৌকিগুলিকে সকাল থেকেই নিশানা করে। ১৪টি পাক ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছিল, আজ রাজৌরির নওশেরা সেক্টরের উল্টোদিকে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক হামলার পাল্টা গুলি চালানো হয়। জবাবি গুলিবর্ষণে নিহত হয় দুজন পাক জওয়ান।
এদিকে ইসলামাবাদের খবর, ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনারকে ডেকে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় বাহিনীর বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করছে, এতে তাদের ৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ জানাল পাকিস্তান। এই নিয়ে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে চার-চারবার তাঁকে তলব করল পাকিস্তান। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ডিরেক্টর জেনারেল (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) মহম্মদ ফয়সল ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার জে পি সিংহকে তলব করে ৩১ অক্টোবর নিকিয়াল ও জান্দরুত সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় বাহিনীর যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের নিন্দা করেন। তবে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় কর্তারা জানিয়েছেন, পাক অভিযোগের মুখে পাল্টা জে পি সিংহও জানিয়ে দেন, পাক রেঞ্জাররাও কোনও প্ররোচনা ছাড়াই হামলা চালাচ্ছে, যার উদ্দেশ্য অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা করে তাদের আড়াল করা। পাল্টা তিনিও পাকিস্তানের দিক থেকে গুলিচালনায় ভারতীয় নাগরিকদের মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।