জম্মু ও নয়াদিল্লিগত এক সপ্তাহে ভারতের জবাবি গুলিতে ১৫ জন পাক রেঞ্জারের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল বিএসএফ। অন্যদিকে, পাক গুলির শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ ভারতীয় নাগরিকের। আহত হয়েছেন আরও ২ জন।


আন্তর্জাতিক সীমান্ত (আইবি) এবং নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া স্বয়ংক্রিয় ও মর্টার দিয়ে ভারতীয় জনপদ এবং বিএসএফ-এর আউটপোস্টগুলিকে টার্গেট করে পাক রেঞ্জার্স বাহিনী।





মূলত জম্মু, কাঠুয়া, পুঞ্চ এবং রাজৌরি জেলায় হামলা চালাচ্ছে পাক বাহিনী। বিএসএফ জানিয়েছে, আইবি-অঞ্চলে যে ধরনের গোলাবারুদ সীমান্তের ওপার থেকে ধেয়ে আসছে, তাতে স্পষ্ট যে রেঞ্জার্সকে সহযোগিতা করছে পাক সেনা। এর আগে গতকালও অন্তত ৩৫টি বিএসএফ আউটপোস্ট এবং ৩৫ ভারতীয় জনপদ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল পাক বাহিনী।

সব ক্ষেত্রেই পাল্টা জবাব দিচ্ছে বিএসএফ-ও। বাহিনীর তরফে এদিন জানানো হয়, ভারতের জবাবি গুলিতে প্রায় ১৫ জন পাক রেঞ্জার ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছে। বেশ কিছু পাক সেনা ছাউনি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আরও অনেক ছাউনির ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানের ওই এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের চলাচল নজরে এসেছে। উল্লেখ্য, উরি হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। এর ‘বদলা’ নিতে পাকিস্তান সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালাচ্ছে। পাকিস্তানের বিনা প্ররোচনায় গুলি বর্ষণের যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা।




বিএসএফ-এর অতিরিক্ত ডিজি অরুণ কুমার জানান, গতকাল বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিট নাগাদ বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে ভারী গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক ফৌজ।

তিনি বলেন, জম্মুর কাঠুয়া সেক্টরে প্রথমে যুদ্ধবিরতি শুরু করে পাকিস্তান। পরে তা হিরানগর ও সাম্বায় ছড়িয়ে পড়ে। এদিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ২৪টি বিএসএফ ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক রেঞ্জার্স। এই হামলায় পাল্লানওয়ালা সেক্টরের খৌর বেল্টে এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আর এস পুরা সেক্টরে আরও এক নাগরিক জখম হয়েছেন বলে জানান জম্মুর ডেপুটি কমিশনার সিমরনদীপ সিংহ।