লাদাখ:  বৌদ্ধ মহিলা বিয়ে করেছিলেন তাঁর পছন্দের মানুষটিকে। সেই ব্যক্তি মুসলিম। আর তারপর থেকেই অশান্ত জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখ। ওই অঞ্চলের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, মহিলা যদি বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে না আসেন, তাহলে সমস্যা হবে।

এমনকি লাদাখ বৌদ্ধ সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতির কাছে এই ঘটনা প্রসঙ্গে একটি চিঠিও লেখে। সেখানে তারা দাবি জানিয়েছে, এখনই বাতিল করে দেওয়া হোক তিরিশ বছর বয়সি স্থানীয় মহিলা শিফার সঙ্গে ৩২ বছর বয়সি কার্গিলের বাসিন্দা মোর্তাজা আগার বিয়ে। শিফার আগে নাম ছিল স্ট্যানজিন স্যালডন। পরে বিয়ের জন্যে ২০১৫ সালে ধর্ম পরিবর্তন করেন শিফা । স্ট্যানজিন থেকে নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান শিফা। গত বছর পেশায় ইঞ্জিনিয়ার আগাকে বিয়ে করেন তিনি।

ওই সংগঠনের অভিযোগ, এলাকার মুসলিম ছেলেরা বৌদ্ধ ধর্মের তরুণীদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করছে। এইধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ওই বৌদ্ধ সংগঠন।

এদিকে এই সংগঠনের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা শিফার দাবি, তাঁকে মোটেই কেউ ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করেননি। বরং তিনি ভালবেসে, স্বেচ্ছায় নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছেন। এরপর সেই মহিলা সকলের কাছে আবেদন করেছেন, শুধুমাত্র ধর্মকে সামনে রেখে মানুষের মধ্যে ঘৃণার বাতাবরণ ছড়ানো কখনওই উচিত নয়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি তাঁর নিজের পছন্দে আগাকে বিয়ে করেছেন। কোনওরকম ভাবেই তাঁকে কোনও প্রলোভন দেখানো হয়নি। এমনকি বিয়ের সময় তাঁকে অপহরণ করা বা তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও ঘটনাও ঘটেনি।