নয়াদিল্লি: বিমা কোম্পানিগুলিতে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। বাজারে বিক্রি করা হবে এলআইসি-র শেয়ারও। বাজেটে এমনই ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারমণ।


সোমবার সংসদে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিমা কোম্পানিতে ৭৪% বিদেশি বিনিয়োগ করা যাবে। আগে এই বিনিয়োগ ছিল ৪৯ শতাংশ।’


তিনি যোগ করেন, ‘ব্যাঙ্কের ডিপোজিট ইনসিওরেন্স ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ করা হয়েছিল। দুর্বল ব্যাঙ্কগুলির জন্য এক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা করা হল। সেবি অ্যাক্টের আরও পরিবর্তন করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।


পাশাপাশি, এলআইসি-র শেয়ারও বাজারে ছাড়া হবে বলে ঘোষণা করেন নির্মলা। বলেন, ‘এলআইসি-র শেয়ার বাজারে বিক্রি করা হবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা রাজ্যগুলিকে বলছি জমি বিক্রি করতে। যে বিপুল পরিমাণ জমি পড়ে আছে তা বিক্রি করতে।’


এছাড়া, অলাভজনক সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হচ্ছে বলেও বাজেটে উল্লেখ করেন সীতারমণ। বলেন, ‘অলাভজনক সরকারি সংস্থা বিক্রি করার কথা বলা হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়া, পবনহংস, বিপিসিএল-এর বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হচ্ছে।


সীতারমণ বলেন, ‘বস্ত্রশিল্পের জন্য আলাদা পার্ক তৈরি হবে। বিশ্বমানের পরিকাঠামো থাকবে রফতানি ও কর্মসংস্থানের জন্য। জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইনে ২১৭ টি প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে।’


‘পরিকাঠামোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নেওয়া প্রয়োজন। ৫লক্ষ কোটি টাকা তিন বছরে ধার দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। এক্ষেত্রে বিদেশিরাও বিনিয়োগ করতে পারবে।’


এই খাতে বিমানবন্দর, রেল, অন্য পরিকাঠামো, স্পোর্টস স্টেডিয়ামও আছে। মূলধন খাতে ৪৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’


বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ‘১ হাজার কোটি টাকা সৌরশক্তি উত্পাদন খাতে বরাদ্দ করা হবে। বিদ্যুৎ সরবরাহে একের বেশি সংস্থাকে বন্টনের দায়িত্ব দেওয়া হবে।


‘বড় বন্দরগুলির ব্যবস্থাপনায় থাকবে বেসরকারি সংস্থা। এই খাতে সরকার কিছু ভর্তুকি দেবে। জাপান থেকে জাহাজ ভারতে এনে পুনর্নিমাণ হবে। এর ফলে ১.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।’


‘ উজ্জ্বলা প্রকল্পটি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর ফলে আরও ১ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। শহরের গ্যাস বন্টন পদ্ধতিও আরও উন্নত হবে।’


এদিন বাজেটের শুরুতে সীতারমণ বলেন, ‘অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে এই বাজেট। অনেকে হারিয়েছেন প্রিয়জনকে, হারিয়েছেন টাকাপয়সা। লকডাউন না করলে আরও প্রাণ হারানোর আশঙ্কা ছিল। করোনার ফলে প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।


তিনি বলেন, ‘৮০ কোটি মানুষকে নিখরচায় রেশন দেওয়া হয়েছে। ৪০ কোটি কৃষক ও বয়স্কদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে নগদ। করোনা-কালে ২৭ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ আরবিআই-এর।


নির্মলা বলেন, ‘করোনা-কালে ৫টি মিনি বাজেট ঘোষণা করে মোদি সরকার। প্রতি ১০ লক্ষে মৃত্যু হার কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। জিডিপি-র ১৩ শতাংশ খরচ হচ্ছে আত্মনির্ভর প্যাকেজে।’