নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বাজেটকে আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করল বিভিন্ন বণিকমহল। তাদের মতে, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে করা এই বাজেটে কর্মসংস্থান যেমন হবে তেমন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শিল্পপতিদের উদ্বুদ্ধ করবে। যা আখেরে ভবিষ্যৎ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।


বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উদ্যোগপতি থেকে শুরু করে কর্পোরেট কর্তারা সকলেই সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, দেশের ১০ কোটি পরিবারকে হাসপাতালে চিকিৎসায় ৫ লক্ষ টাকা বিমার ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত বণিকমহল।


এদিন বায়োকন সিএমডি কিরণ মজুমদার শ টুইটারে বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম উপাদান হল সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা। দীর্ঘদিন ধরেই তা পাওনা ছিল। আবশেষে তা চালু হল। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ছাড়া গরিবরা গরিবই থেকে যাবেন।


মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মহিন্দ্রা বলেন, জনবহুল কৃষিভিত্তিক দেশে জনমুখী, প্রাক-নির্বাচনী বাজেট বহুক্ষেত্রে বৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। কারণ, তা গ্রামীণ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ঘটায়। তিনিও স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রশংসা করেন। বলেন, উন্নত সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।


বণিকসভা সিআইআই-এর অধিকর্তা চন্দ্রজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বাজেটকে ভারসাম্য ও বিচক্ষণ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, এই বাজেট ভবিষ্যতে অর্থনীতির বৃদ্ধির ভিত্তি হবে। তিনি যোগ করেন, কঠিন সময়ে আর্থিক ঘাটতিকে জিডিপির ৩.৫ শতাংশে রেখে ভাল কাজ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।


অ্যাসোচ্যামের সভাপতি সন্দীর জাজোদিয়া বাজেটকে প্রত্যাশিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সমাজের সবস্তরে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাবে। তাঁর মতে, দেশের কৃষি ও গ্রামীণ ক্ষেত্র কিছুটা সমস্যায় ছিল। সেখানে গ্রামীণ পরিকাঠামোয় ১৪.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ করে ভাল কাজ করেছে কেন্দ্র।


হিন্দুজা গোষ্ঠীর কর্ণধার অশোক হিন্দুজা বলেন, কৃষি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে অর্থনীতিকে সঠিক পথেই নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। ফিকির চেয়ারম্যান রশেষ শাহ বলেন, এই বাজেটে বৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী হবে।