মুম্বই: আগামী চার বছরের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে নতুন বাজেটে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ করে কৃষিঋণে উৎসাহ যোগাবে এমন একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে রিপোর্ট দিয়েছে এসবিআই। এতে কৃষিক্ষেত্রে লগ্নি আরও বাড়বে বলেই মত সংশ্লিষ্টমহলের।
কৃষিক্ষেত্রে আর্থিক অগ্রগতির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই থমকে রয়েছে। সেই স্থিতাবস্থা থেকে দেশের কৃষিক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ২০২০ সালের মধ্যে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে নজর দেওয়া উচিত বলেই মত তাদের। এসবিআই তাদের রিসার্চ রিপোর্টে জানিয়েছে, “কৃষকের আয় দ্বিগুণ হলে কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং কৃষিঋণের মতো বিষয়গুলোতে আরও বেশি করে গতি আসবে। সরকারের উচিত আগামী ৫ বছরের মধ্যে কৃষকের আয় ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া।” একই সঙ্গে ক্রেতার মানসিকতা ও বাজার চাঙ্গা করার বিষয়টির ওপরও নজর দেওয়ার কথা বলছে তারা।
এসবিআই মনে করে ‘ইনকাম সাপোর্ট’-ই হল কৃষকের আয়বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান শর্ত। এই বিষয়ে বাড়িত গুরুত্ব দেওয়া হলে দেশের ১৪ কোটি কৃষকের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনাও দেখছে এসবিআই। আর সেটা হলে আর্থিক ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটবে এবং সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতিও কমবে। এসবিআই রিপোর্ট অনুযায়ী সরকারের সঠিক পদক্ষেপে ২০২৪ আর্থিক বর্ষের মধ্যে জিডিপি-র ৩ শতাংশ রাজস্ব ঘাটতি কমতে পারে। এবং একই সঙ্গে ডিডিপি-ও ০.৪০ থেকে নেমে ০.৩৪ শতাংশে এসে দাঁড়াতে পারে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এখন স্রেফ তিন ধরনের শস্যকে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় রাখা হয়েছে। খাদ্য-শস্য, তৈলবীজ ও ফুলচাষের মতো বিষয়গুলোই কেবল এই যোজনার মধ্যে রয়েছে। এসবিআই এই তিন ধরণের শস্য ছাড়াও সব ধরনের শস্যকেই প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার আওতায় আনার কথা বলছে। এতে ব্যাঙ্কগুলোও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা পাবে বলে মত এসবিআইয়ের।