নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে বুলন্দশহরের গণধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খান  গত মাসের মা, মেয়ের ডাকাত দলের হাতে গণধর্ষিতা হওয়ার ঘটনার পিছনে ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’ আছে বলে মন্তব্য করেন সম্প্রতি। চলতি মাসের গোড়ায় মেয়েটির পরিবারের  সঙ্গে দেখা করতে গাজিয়াবাদ যায় বিজেপি নেতাদের একটি দল। এ নিয়েই কটাক্ষ করেন আজম খান। ২০১৭-এর বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টিকে বিপাকে ফেলতেই কি গণধর্ষণ, প্রশ্ন তোলেন তিনি। এহেন মন্তব্যের জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ‘অসংবেদনশীল’ বলে  তাঁকে তোপ দাগেন অনেকে। এবার ওই মেয়েটি আজমের বিরুদ্ধে এফআইআর চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল।  কর্তব্যে গাফিলতিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধেও সে এফআইআর চায়।

 



ধর্ষণ মামলাটি বুলন্দশহর থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদনও জানিয়েছে মেয়েটি। সে চায়, আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত হোক। তার এও আর্জি, সে যাতে স্কুলে যেতে পারে, তাকে সেজন্য নিরাপত্তা দেওয়া হোক। পুনর্বাসনও চেয়েছে মেয়েটি।

প্রসঙ্গত, গতকালই এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের তদন্তে ‘সন্তুষ্ট নয়’ বলে জানিয়ে গণধর্ষণের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ২৯ জুলাইয়ের গণধর্ষণের ব্যাপারে স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই হাইকোর্ট আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে। তারা তদন্তে নজরদারি চালাতে চায় বলেও গতকাল জানিয়েছে হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, মেয়েটি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটি অন্ত্যোষ্ঠি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। সশস্ত্র ডাকাতরা তাদের গাড়ি আটকে ভিতর থেকে পুরুষদের বের করে বেঁধে মারধর করে, মেয়েটি, তাঁর মায়ের ওপর তিন ঘণ্টা ধরে নারকীয় অত্যাচার চালায়।