নয়াদিল্লি/জম্মু: কীভাবে পুলিশের জালে ধরা পড়ল বুরহান ওয়ানি? জানা যাচ্ছে, নানা বয়সের বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। এমনকী অনেক বাবা-মাও নাকি তাদের মেয়েদের পাঠিয়ে দিত তার কাছে। মহিলাদের মধ্যে প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা ছিল সুদর্শন বুরহানের। সেই বান্ধবীদেরই কোনও একজন তাকে অন্য মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে চ্যাট করতে দেখে চটে যায়। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে-ই নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে খবর দেয়, বুরহান ঠিক কোথায় আছে। এরপরই শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকরনাগের বুমডুরা গ্রাম ঘিরে ফেলে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশ। তাদের কাছে খবর ছিল হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সরতাজ সহ ৩ জন গা ঢাকা দিয়েছে ওই গ্রামে। তখনই গোয়েন্দাদের মনে আশা জাগে, এবার হয়তো তাঁরা বুরহানকে ধরতে পারবেন, কারণ, বুরহান ও সরতাজ একসঙ্গে থাকত। গ্রাম থেকে বার হওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে সেনা। স্থানীয় মানুষ বাধা দিলেও তাদের সরিয়ে বেলা ৩টে নাগাদ গ্রামে ঢোকে তারা। সন্ধে সোয়া ছটা নাগাদ শেষ হয় সংঘর্ষ। দেখা যায়, মৃত ৩ জঙ্গির মধ্যে রয়েছে বুরহানও।




কাশ্মীরে সেনা কলোনি তৈরি হলে ও পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হলে রক্ত ঝরবে বলে হুমকি দিয়েছিল বুরহান। এ বছরের অমরনাথ যাত্রীদেরও নিশানা করেছিল সে। দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের দায়ভার বুরহানকে দিয়েছিল হিজবুল। সফল কোনও জঙ্গি হানা চালাতে না পারলেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাশ্মীরীদের জঙ্গি হওয়ার উৎসাহ দিত সে। উপত্যকায় দারুণ জনপ্রিয় বুরহানের মাথার দাম ঘোষিত হয়েছিল ১০লাখ টাকা। মনে করা হচ্ছে, সে খতম হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের শিরদাঁড়া ভেঙে গেল।