নয়াদিল্লি/ হায়দরাবাদ: আইএসআইএসের টেরর মডিউল ধরা পড়ল খোদ ভারতেই। বুধবার ভোরে হায়দরাবাদের চারমিনার এলাকা থেকে ১১জনকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। জানা গেছে, চারমিনারের কাছে ভাগ্যলক্ষ্মী মন্দিরে গোমাংস রেখে রমজানের সময় শহর জুড়ে দাঙ্গা বাধানোর ছক কষেছিল এরা। এছাড়া ভিড়ে ঠাসা এলাকা ও ভিভিআইপিদের টার্গেট করে একাধিক বিস্ফোরণের ছক ছিল।
জানা গেছে, ধৃত এই ১১ যুবকই স্নাতক, ভাল রোজগার করে, কয়েকজন আবার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। এরা প্রত্যেকে অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে, বয়স ২০ থেকে ৩০-এর মধ্যে। এরা ভারতে আইএস হ্যান্ডলারের কাজ করা শফি আরমারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল। এই শফি আরমার আবার এ দেশ থেকে আইএসের জন্য জঙ্গি জোগাড় করে। ৪-৫ মাস ধরে এনআইএ-র নজরে ছিল এরা। ২৫ তারিখ এদের টেলিফোনে আড়ি পেতে এনআইএ জানতে পারে, মন্দিরে মন্দিরে গোমাংস রেখে এরা ক’দিনের মধ্যেই দেশজুড়ে আগুন লাগাতে চলেছে। দুবাইয়ের পথ ধরে এদের প্রয়োজনীয় টাকা জোগাচ্ছিল আইএস।



আইএসের এই হায়দরাবাদ মডিউলের পর্দা ফাঁস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য বলে মনে করছে এনআইএ কারণ, এ দেশে এখনও যতগুলি আইএস মডিউলের পর্দা ফাঁস হয়েছে, সেগুলির মধ্যে এটাই সবথেকে বড়, সংগঠিত ও অস্ত্রেশস্ত্রে সুসজ্জিত বলে খবর। এর আগে যেগুলি প্রকাশ্যে আসে, সেগুলির আঘাত করার ক্ষমতা খুব বেশি তীব্র ছিল না।
এনআইএ সূত্রে খবর, মন্দিরে গোমাংস রাখার ব্যাপারে জানতে পেরে এদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়। গোমাংস রেখে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর পাশাপাশি দু’একদিনের মধ্যেই এরা বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছিল হায়দরাবাদের বিভিন্ন মল ও শপিং সেন্টারে।