বক্সার: বিহারের বক্সারের একটি জেলে এখন ফাঁসির দড়ি তৈরির কাজ চলছে।কারণ, চলতি সপ্তাহের শেষ হওয়ার আগেই জেল কর্তৃপক্ষকে ১০ টি ফাঁসির দড়ি তৈরি করে রাখতে বলা হয়েছে।ফাঁসির দড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এই জেলের দক্ষতা রয়েছে। সেজন্যই এই নির্দেশিকা। ২০১২-র নির্ভয়া মামলার সাজাপ্রাপ্তদের জন্যই ফাঁসির দড়ি তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।
রাজ্যে ফাঁসির দড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি জানা রয়েছে এই বক্সার জেলের।ফাঁসির দড়ি হয় শক্তপোক্ত, এই দড়ি অবশ্য খুব বেশিদিন টেকে না। গত সপ্তাহেই তাদের কাছে ফাঁসির দড়ি তৈরি রাখার নির্দেশ এসেছে। কিন্তু কোথায় সেগুলি পাঠানো হবে, সে বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।
বক্সার জেলের সুপার বিজয় কুমার অরোরা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন,কারা ডিরেক্টরেটের কাছ থেকে আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ টি দড়ি তৈরি রাখার নির্দেশ পেয়েছি। কোথায় সেগুলি ব্যবহার করা হবে, তা জানা নেই। তবে বক্সার জেলের ফাঁসির দড়ি তৈরির দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য রয়েছে।
অরোরা জানিয়েছেন, এই দড়ি তৈরির জন্য দিন তিনেক সময় লাগে। সাধারণত হাতেই তৈরি হয় এই দড়ি। মোটর চালিত মেশিনের ব্যবহার এক্ষেত্রে খুবই সামান্য।
তিনি বলেছেন, সংসদে হামলায় আফজল গুরুর সাজা কার্যকর করতে এই জেল থেকেই দড়ি পাঠানো হয়েছিল।২০১৬-১৭ তে পাটিয়ালা জেল থেকে অর্ডার এসেছিল।
বক্সার জেল সুপার বলেছেন,শেষবার যখন এই দড়ি পাঠানো হয়েছিল,তখন দাম ছিল ১,৭২৫ টাকা। তিনি বলেছেন, লোহা ও পিতলের দামের ওঠা-পড়ার কারণে সময়ে সময়ে এর দাম বিভিন্ন রকম হয়। ফাঁসির দড়ি তৈরিতে লোহা ও পিতল লাগে।
অরোরা জানিয়েছেন, একটি দড়ি তৈরি করতে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় জন শ্রমিক লাগে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দড়ি তৈরির কাজে কোনও সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
অরোরা বলেছেন,তৈরি হওয়ার পর বেশিদিন ফেলে রাখলে ওই দড়ি ব্যবহার করা যায় না।
২০১২-র ১৬ অক্টোবর দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় এবং তাঁর ওপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়।পরে তাঁর মৃত্যু হয়।এই ঘটনায় চার দোষীর চলতি মাসেই ফাঁসির সাজা কার্যকর হবে বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে জল্পনা চলছে।
গত সপ্তাহেই এই মামলার অন্যতম দোষী বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে তার ক্ষমা ভিক্ষার আর্জি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে চেয়েছে। তার সম্মতি না নিয়েই ওই আর্জি পাঠানো হয়েছে বলে সে দাবি করেছে।