নয়াদিল্লি: ক্যাশলেস লেনদেনে যে কেন্দ্রীয় সরকার বদ্ধপরিকর, বৃহস্পতিবার নতুন একগুচ্ছ ঘোষণার মাধ্যমে তা ফের বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
নগদহীন লেনদেন বাড়ানোর লক্ষ্যে গত একমাস ধরে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। আর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের মাসপূর্তির দিন, এই সংক্রান্ত এগারো দফা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী!
জেটলির ঘোষণা অনুযায়ী, শহরতলি এলাকায়, ট্রেনের মান্থলি ও সিজন টিকিট কেনার সময় ডিজিটাল পেমেন্ট করলে ০.৫% পর্যন্ত ছাড় মিলবে। আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
রেলযাত্রীদের জন্য আরও সুখবরের হদিস দেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী। জানান, রেলের ক্যাটারিং, অ্যাকোমডেশন, রিটায়ারিং রুমের মতো মূল্যযুক্ত পরিষেবাগুলিতেও ডিজিটাল পেমেন্টে মিলবে ৫% ছাড়।
পাশাপাশি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সাধারণ বিমার ক্ষেত্রে কাস্টমার পোর্টালের মাধ্যমে প্রিমিয়াম দিলে ১০% পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে। একইভাবে কাস্টমার পোর্টালের মাধ্যমে জীবন বিমা নিগমের নতুন পলিসি কিনলে ছাড় মিলবে ৮%।
কার্ডে পেট্রোল, ডিজেল কিনলে ০.৭৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জাতীয় সড়কে টোল মকুব করার ফলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে সরকারের।
এদিন জেটলি জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের টোলপ্লাজাগুলিতে আরএফআইডি কার্ড এবং ফাস্ট ট্যাগ ব্যবহার করলে টোলে ১০% ছাড় পাওয়া যাবে। তবে এই সুবিধা মিলবে ২০১৬-১৭ সালের জন্য।
নোট সঙ্কটে এমনিতেই জেরবার কৃষকরা। ডিজিটাল লেনদেনে তাঁদের যাতে সুবিধা হয়, সেই জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। জেটলির ঘোষণা অনুযায়ী, নাবার্ডের মাধ্যমে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার কৃষককে রূপে কিষাণ কার্ড দেওয়া হবে।
পাশাপাশি, ১০ হাজারের কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট এমন ১ লক্ষ গ্রামে দুটি করে সোয়াইপ মেশিন বসাবে ব্যাঙ্কগুলি। সমবায় সমিতি, দুগ্ধ সমবায়ের মতো জায়গায় এগুলো রাখা হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সোয়াইপ মেশিনের ভাড়া মাসে ১০০ টাকার বেশি হবে না ঘোষণা করেছে সরকার।
সর্বোপরি, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে ২০০০ টাকা পর্যন্ত লেনদেনে কর ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন জেটলি। কিন্তু এই সব ছাড় কিম্বা সুবিধা কবে থেকে মিলবে? দ্রুততার কথা বলেও জেটলির সাফাই, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও বিভাগগুলিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।