নয়াদিল্লি: সাত রাজ্য ও দিল্লিতে ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও সাফল্যের রেশ ধরে রাখল বিজেপি। ১০টির মধ্যে ৫টিতে জিতেছে তারা। কংগ্রেস জিতেছে ৩টি আসন। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। বিজেপির জেতা ৫টি আসনের মধ্যে তিনটি আগের জেতা আসন, দুটি দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আমআদমি পার্টি (আপ) ও রাজস্থানে বিএসপি-র কব্জা থেকে ছিনিয়ে আনা।


রাজধানীর রাজৌরি গার্ডেন আসনে বিজেপি-শিরোমনি অকালি দল জোটের প্রার্থী মনিন্দর সিংহ শিরসা জিতেছেন। তিনি মোট ভোটের ৫০ শতাংশের বেশি ঝুলিতে পুরেছেন। এখানে জামানত খুইয়েছেন আপ প্রার্থী হরজিত সিংহ।  দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী মীনাক্ষি চান্দেলা। রাজধানীর বুকে আসন্ন পুরসভা ভোটের আগে বিজেপির পায়ের তলার মাটি নিঃসন্দেহে আরও শক্ত করে তুলবে এই ফল।
রাজস্থানের ঢোলপুর আসনে নিকটতম কংগ্রেস প্রার্থী বানওয়ারিলাল শর্মাকে রেকর্ড ৩৮৬৭৮ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপির শোভা রানি কুশওয়া। ২০১৩-র বিধানসভা নির্বাচনে আসনে এখানে প্রবল মোদী হাওয়ার মধ্যেও বিএসপির টিকিটে জিতেছিলেন শোভারানির স্বামী বিএল কুশওয়া।
অসমে ধেমাজি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের বাবুল সোনোয়ালকে ৯২৮৫ ভোটে পরাস্ত করেছেন বিজেপির রনোজ পেগু। তিনি পেয়েছেন ৭৫২১৭টি ভোট, ৬৫৯৩২টি ভোট পড়েছে বাবুলের পক্ষে। ওই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক প্রধান বড়ুয়া লখিমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় পুনর্নির্বাচন করতে হয়। অসমে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।
মধ্যপ্রদেশে বান্ধবগড় কেন্দ্রে ২৫০০০-এর বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী পরাজিত করেছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। উমারিয়া আসনেও জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী। হিমাচল প্রদেশে বিজেপি ধরে রেখেছে ভোরাঞ্জ (সংরক্ষিত) আসনটি।
কংগ্রেসের সান্তনা কর্নাটক। সেখানে গত রবিবার হওয়া ভোটে নানজানগুড় ও গুন্ডলুপেট, দুটি কেন্দ্রই দখলে রাখতে পেরেছে কংগ্রেস। নানজানগুড়ে নিকটতম বিজেপি প্রার্থী ভি শ্রীনিবাস প্রসাদকে ২১ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন কংগ্রেসের কালালে এন কেশবমূর্তি। গুন্ডলুপেটে ১০ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী সি এস নিরঞ্জন কুমারকে হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের গীতা মহাদেবপ্রসাদ।
বছরখানেকের মধ্যেই কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। তার আগে কংগ্রেসকে স্বস্তি দেবে এই ফল।
এছাড়া মধ্যপ্রদেশের আটের কেন্দ্রে কংগ্রেস-বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও শেষমেশ ৮৫৭ ভোটে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস।