নয়াদিল্লি: রবিবার সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জনৈক শীর্ষ কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক অফিসার আজ জানান, রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে।


২০১৪-র মে মাসে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পর থেকে এই নিয়ে তৃতীয়বার ক্যাবিনেটে পরিবর্তন করছেন তিনি। একাধিক নতুন মুখ পরিবর্তিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন বলে খবর।
গতকালই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বৈঠকে সম্ভবত রদবদলে কারা বাদ পড়বেন, কারা ঢুকবেন, তা স্থির হয়ে গিয়েছে।

বিজেপির অভ্যন্তরে সম্ভাব্য মন্ত্রী হিসাবে দলের সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব, সহ সভাপতি বিনয় সহস্রবুদ্ধে, প্রহ্লাদ পটেল, সুরেশ অঙ্গদি, সত্যপাল সিংহ, প্রহ্লাদ জোশীর নাম শোনা যাচ্ছে।
রদবদলের প্রক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন চার জুনিয়র মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুডি, সঞ্জীব বালিয়ান, ফগ্গন সিংহ কুলস্তে ও মহেন্দ্রনাথ পান্ডে। পদত্যাগ করেছেন উমা ভারতী। মন্ত্রী কলরাজ মিশ্রও ইস্তফা দিতে চেয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

মোদী মন্ত্রিসভায় রদবদল আসন্ন বলে গত বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। বেঙ্কাইয়া নাইডু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন। তারও আগে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী অনিল দাভের মৃত্যুর পর সেই মন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন হর্ষবর্ধন। অর্থাত্ বেঙ্কাইয়া, দাভের মন্ত্রকগুলি খালি রয়েছে।

পাশাপাশি এবারের রদবদলে বিরোধী শিবির ছেড়ে ফের এনডিএ-তে সামিল বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ থেকেও দুজনকে মোদী মন্ত্রী করতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে। রাজ্যসভায় তাদের নেতা আরসিপি সিংহ ও সন্তোষ কুমারের মন্ত্রী হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন এআইএডিএমকে নেতা থাম্বিদুরাই। এআইএডিএমকে কেন্দ্রে সামিল হলে তিনি ছাড়াও ঠাঁই হতে পারে পি বেনুগোপাল, ভি মৈত্রেয়ন, এমনই খবর।

সামনেই কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তারপর রয়েছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজার পথে হাঁটছেন মোদী। সামনেই ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে চিন সফরে যাচ্ছেন, তার আগেই মন্ত্রিসভায় রদবদল সেরে ফেলছেন তিনি।

একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, রদবদলে কে থাকবেন আর কার ওপর খাঁড়া নেমে আসবে, তা নির্ধারণে দেখা হবে সংকল্প যাত্রা, তিরঙ্গা যাত্রা, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবর্ষ পালন ও 'তিন সাল বেমিসাল' সহ নানা সরকারি প্রকল্প, কর্মসূচির কথা জনসাধারণের কাছে সফল ভাবে প্রচার করায় তাঁরা কতটা সক্রিয় হয়ে সঠিক ভূমিকা পালন করেছেন।

এখন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৭৩। সংবিধান সংশোধন করে নিয়ম করা হয়েছে, লোকসভার মোট সদস্যসংখ্যা ৫৪৫-এর ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আয়তন। সেই নিয়ম মেনে ৮১ ছাড়াতে পারবে না মোট মন্ত্রীর সংখ্যা।