'বেআইনি টোটোকে আইনি বৈধতা দিতে হয়, তাহলে তো চুরিকেও আইনি বৈধতা দিতে হবে'
এরপরই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা একটা বড় সমস্যা। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটা বিশেষ কমিটি রয়েছে। সেই কমিটিতে আমরাও রয়েছি। এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমাদের আরও তিন মাস সময় দেওয়া হোক। পত্রপাঠ পরিবহণ সচিবের আর্জি খারিজ করে দিয়ে মঞ্জুলা চেল্লুর বলেন, তিন মাস সময় দিলেও আপনারা, বেআইনি টোটোর বাড়বাড়ন্ত, দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু বন্ধ করতে পারবেন না। ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করুন। কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর ও ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনাররা। ১৫ দিনের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বেআইনি টোটো এবং মোটরভ্যানের দৌরাত্ম্য রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিতে চলেছেন আপনারা। ১০ জুন রিপোর্ট দিতে হবে আদালতকে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই হাইকোর্ট জানাবে, ফের কবে এই মামলার শুনানি হবে।বেআইনি টোটো: হাইকোর্টের অসন্তোষের মুখে রাজ্য
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 06 May 2016 01:45 PM (IST)
কলকাতা: বেআইনি টোটো এবং মোটরভ্যানের দৌরাত্ম্য নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের অসন্তোষের মুখে রাজ্য সরকার! শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন, প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও কেন বেআইনি টোটো এবং মোটরভ্যানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? জবাবে পরিবহণ সচিব বলেন, এর জন্য দায়ী আর্থ-সামাজিক কারণ। তাছাড়া, মানবিক দিক থেকে ভাবনাচিন্তা করেও, এই টোটো এবং মোটরভ্যানগুলির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি। তবে, আইনি পথে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। একথা শোনার পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, মানবিক কারণে যদি বেআইনি টোটো এবং মোটরভ্যানকে আইনি বৈধতা দিতে হয়, তাহলে তো চুরিকেও আইনি বৈধতা দিতে হবে! আপনারা যদি না পারেন, তাহলে লিখিতভাবে তা বলুন। আমরা আপনাদের হাত শক্ত করার ব্যবস্থা করব।