চণ্ডীগড়: বিজেপি থেকে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন ভোটের ঠিক আগে। দল জিতেছে, পঞ্জাবে ক্ষমতায় ফিরেছে ১০ বছর পর। নভজ্যোত সিংহ সিধু এবার জয়ের লভ্যাংশ চাইছেন। ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, পাকা। সিধুর দাবি, তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে।

সিধু স্বীকার করে নিয়েছেন, অমরিন্দর সিংহ বড় নেতা। কিন্তু একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, সিটি দিয়ে কি সিম্ফনি বাজানো যায়? অর্কেস্ট্রা ছাড়া তো সিম্ফনি হবে না, তাই সকলকেই নয়া সরকারে প্রয়োজনীয় ভূমিকা দিতে হবে।

অমরিন্দর সিংহ অবশ্য বলেছেন, মঙ্গলবার রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। তখনই ঠিক হয়ে যাবে সিধুর ভাগ্য।

তবে এটা সত্যি, পঞ্জাবে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরায় সিধুর বড় ভূমিকা ছিল। ৫৩ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর কথা চলছিল আম আদমি পার্টির সঙ্গে। কিন্তু সিধু দাবি করেন, দলে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত কৌরকে বড় ভূমিকা দিতে হবে। আপ তাতে রাজি না হওয়ায় তিনি ঢলে পড়েন কংগ্রেসের দিকে।

সিধুর ভিড় টানার ক্ষমতা এখনও যথেষ্ট থাকায় তাঁকে সম্মানজনক পুনর্বাসন দিতে রাজি হয়ে যায় কংগ্রেস। তারপরেই তাঁর কংগ্রেসের হাত ধরা।