মুম্বই: গো-হত্যা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের বিতর্কিত নির্দেশ বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট। যদিও রাজ্যের বাইরে থেকে আনা গো-মাংস রাখা বা খাওয়া কোনওভাবেই বেআইনি নয় বলে জানিয়েছে আদালত।
মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্চ জানিয়ে হাইকোর্টে একগুচ্ছ পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে হাইকোর্ট সরকারি নির্দেশকে বহাল রাখল।
শুনানি শেষ হওয়ার পর গত জানুয়ারিতে রায়দান স্থগিত রেখেছিল বিচারপতি এ এস ওকা এবং বিচারপতি এসসি গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি মহারাষ্ট্রের পশু সংরক্ষণ (সংশোধনী) আইন-এ সম্মতি দিয়েছিলেন। ১৯৭৬-এর মূল আইনে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সংশোধনীতে এর সঙ্গে ষাঁড় ও বলদ হত্যা এবং সেগুলির মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। নয়া আইন অনুযায়ী, গো-হত্যা করলে পাঁচ বছর জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। অন্যদিকে, গরু, ষাঁড় বা বলদের মাংস রাখলে এক বছরের জেল ও ২ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
শুনানি চলাকালে  গো-মাংস রাখার জন্য শাস্তির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
গো-মাংস রাখলে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরিফ কাপাডিয়া নামে মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা ও বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ জাগতিয়ানি। তাঁদের আবেদনে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে মুম্বইয়ে। এর মধ্যে এ ধরনের আইন শহরের সর্বজনীন চরিত্রকে খাটো করবে।
অন্য পিটিশনগুলিতে যুক্তি দেওয়া হয়, গো-মাংসে নিষেধাজ্ঞা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ভঙ্গের সামিল।