চন্ডিগড়: গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে পরিবারের সমস্যা হচ্ছে। গার্লফ্রেন্ড পেশায় নার্স।  দুজনের পরিবারই এই বিয়েতে নারাজ। দুই পক্ষের বাবা-মাকে রাজি করাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাহায্য চেয়েছেন চন্ডিগড়ের এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এটা মোটেই কোনও রসিকতা নয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সেন্ট্রালাইজড পাবলিক গ্রিভ্যান্স রিড্রেস অ্যান্ড মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে এ ধরনের অনেক উটকো অনুরোধ চন্ডিগড় থেকে পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)-তে।

চন্ডিগড়ে এই অভাব-অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থার তদারককারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চন্ডিগড় থেকে যে অনুরোধ ও অভিযোগগুলি পাঠানো হয় তার ৬০ শতাংশই একেবারেই তুচ্ছ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এক ব্যক্তি পিএমও-র কাছে চন্ডিগড় পুলিশকে হেলিকপ্টার দিতে অনুরোধ করেছেন। পুলিশ যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেন সেজন্যই এই অনুরোধ।

আর একজনের অভিযোগ, কেউ তাঁর বাগানের ফুল তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনা রুখতে কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

চন্ডিগড় প্রশাসনে পিএমও-র গ্রিভ্যান্স সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৪০০-র মতো অভাব ও অভিযোগ এসে থাকে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ অভাব-অভিযোগই ব্যক্তিগত।

সেন্ট্রালাইজড গ্রিভ্যান্স সিস্টেমে পাঠানো অভিযোগ সরাসরি পৌঁছে যায় পিএমও-তে। সেখান থেকে অভিযোগগুলি বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট শহরের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।