নয়াদিল্লি: ধর্ম, জাতপাত, সম্প্রদায়ের নাম করে প্রচারে ভোট চাওয়া যাবে না। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ভোট প্রচারে প্রার্থীদের ধর্ম, জাতপাত ও ভাষা, সম্প্রদায়ের আবেগ উস্কে ভোট প্রার্থনায় তীব্র আপত্তি জানাল সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির বেঞ্চ, যার মাথায় রয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর। নির্বাচনকে 'ধর্মনিরপেক্ষ প্রক্রিয়া' বলে উল্লেখ করে বেঞ্চ বলেছে, নির্বাচন আইনে ধর্ম ও জাতের নামে ভোট চাওয়া দুর্নীতির সামিল।
হিন্দুত্ব মামলায় ১৯৯৫ সালের সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিমত জানাল বেঞ্চ। ওই রায়ে নির্বাচনী দু্র্নীতির বিষয়টি ছিল। বিচারপতি জে এস বর্মা সেই রায়ে বলেছিলেন, কোনও ভাষণে হিন্দুত্ব বা হিন্দুধর্মের প্রতি ইঙ্গিত করা মানেই বাকি ধর্মের বিরোধিতা করা হচ্ছে, হিন্দুধর্মের প্রচার হচ্ছে, এমন ধরে নেওয়া, ভাবাটা ভুল, আইনের ভ্রান্তি।
বেঞ্চ বলেছে, ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্ক ব্যক্তিগত ব্যাপার। রাষ্ট্র কখনও এতে জড়াতে পারে না। সংবিধানের আওতায় রাষ্ট্র রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে ব্যবহার করতে পারে না। সংবিধান তাকে সেই অনুমতি দেয়নি।


যদিও সাত বিচারপতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিন বিচারপতি বলেছেন, বিষয়টি সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। ওই তিনজনের অন্যতম বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, জাতপাত, ধর্ম নিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ভিতরে ও বাইরে আলোচনায় সংবিধানের সায় আছে। এতে বিধিনিষেধ চাপানো যায় না।