নীরব, মেহুলের জালিয়াতি করে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে মোদী কেন 'নীরব', সেই প্রশ্নও করেন তিনি।
রাহুল দেশের বেশ কিছু এলাকায় নগদের সঙ্কটের খবরের ব্যাপারে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মোদীজী ব্যাঙ্কিং সিস্টেম লাটে তুলে দিয়েছেন। নীরব মোদী ৩০০০০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না। আমরা লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হলাম আর আমাদের পকেট থেকে ৫০০-১০০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে উনি নীরব মোদীর পকেটে ভরে দিলেন।
"CashCrunch" হ্যাশট্যাগ দিয়ে হিন্দিতে রাহুল ট্যুইট করেছেন, নোটবন্দির খেলা বুঝুন। আপনার টাকা গেল নীরব মোদীর পকেট। মোদীজীর মাল্য মায়া, নোটবন্দির সন্ত্রাস ফিরে এল। এটিএমগুলি আবার ফাঁকা। দেশের ব্যাঙ্কগুলির এটাই হাল।
সদ্যসমাপ্ত সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলেন বলেও কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, রাফালে যুদ্ধবিমান, নীরব মোদী প্রসঙ্গে আমরা বলার সুযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রী মুখ খুলতেই পারতেন না।
প্রধানমন্ত্রী নীরব, মেহুলকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন বলে দাবি করেন রাহুল, বলেন, উনি দুজনকে 'নীরব ভাই', 'মেহুল ভাই' বলেই ডাকেন।
রাহুল ক্ষোভের সুরে মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে যে অচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা নীরব মোদী, মেহুল চোকসি সহ মাত্র ১৫ জনের কাছে এসেছে। কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর সহ গরিবের জন্য এসেছে শুধুই 'বুরে দিন'।
কংগ্রেসের কমিউনিকেশনস-ইন-চার্জ রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, 'সাহেব' যখন বিদেশ সফর উপভোগ করছেন, দেশের মানুষ তখন ব্যাঙ্কে ঘুরছে নগদের আশায়!