তিরুঅনন্তপুরম: কেন্দ্রের গবাদি পশু নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনার জন্য সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকতে চলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
বুধবার, রাজ্য মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন। সেখানে গবাদি-পশু নিধন নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান বিজয়ন। তিনি বলেন, আমরা এই ইস্যু নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বসতে চাই।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে এক নির্দেশিকা জারি করে পশু বাজার থেকে জবাইয়ের জন্য গবাদি পশুর কেনাবেচা নিষিদ্ধ করে মোদী সরকার। এরপরই কেন্দ্রের এই নির্দেশিকাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিপন্থী’ হিসেবে উল্লেখ করে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার আহ্বান করেন বিজয়ন। সেই দিক দিয়ে কেরল মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জানা গিয়েছে, সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের যে চিঠি দিয়েছেন বিজয়ন, তাতে তিনি লেখেন, যদি এখন আমরা একসঙ্গে সমোচ্চরে এই অ-যুক্তরাষ্ট্রীয়, অ-গণতান্ত্রিক ও অ-ধর্মনিরপেক্ষ সিদ্ধান্তের মোকাবিলা না করি, তাহলে এখানেই এর ইতি হবে না।
বিজয়নের দাবি, এখনই এর প্রতিরোধ না করা হলে, ভবিষ্যতে এধরনের একের পর এক সিদ্ধান্ত ও নির্দেশিকার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ভিত ও ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হতে থাকবে।
শুধু রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরই নয়, গবাদি পশু সংক্রান্ত নির্দেশিকার বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি লেখেন বিজয়ন। সেখানে তিনি নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার আর্জি জানান।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের মোকাবিলা করার জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার। এর জন্য বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালার সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
বিজয়ন এদিন জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য মানবে না। তিনি বলেন, এটি (নির্দেশিকা) অসাংবিধানিক। ফলে তাকে আইনি পথেই মোকাবিল করা প্রয়োজন।
যদিও, এই ইস্যু নিয়ে কেরল প্রশাসন উচ্চ আদালত বা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে কি না, তা আইনি পরামর্শ করার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।