নয়াদিল্লি: শিখ বিরোধী হিংসা বিতর্কে শেষপর্যন্ত সরতেই হল কংগ্রেস নেতা কমলনাথকে। পঞ্জাবে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে পঞ্জাবে দলের দায়িত্বে আনা হয়েছিল কমলনাথকে। কিন্তু গতকাল রাতেই তিনি ইস্তফাপত্র পাঠালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে। সেই চিঠি গ্রহণ করে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হল। মাত্র তিন দিন আগে তাঁকে পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে অভিযোগ তুলে অকালি দল ,বিজেপি এবং আম আদমি পার্টি সোচ্চার হয়। ভোটের আগে এই স্পর্শকাতর ইস্যুতে বিতর্ক কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলে। অবশেষে কমলনাথকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে এই বিতর্ক ধামাচাপা দিতে চাইল কংগ্রেস।
কমলনাথ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, পঞ্জাবের প্রকৃত ইস্যুগুলির দিক থেকে মনোযোগ ঘুরিয়ে দিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। অথচ ওই দুঃখজনক ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা এফআইআর দায়ের করা হয়নি। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই তাঁকে ওই বিতর্কে জড়ানো হচ্ছে বলেও কমলনাথ মন্তব্য করেছেন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্জাবের প্রকৃত ইস্যুগুলি যাতে আড়ালে চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান কমলনাথ।
পঞ্জাবের আসন্ন ভোটে কংগ্রেস অকালি দল-বিজেপি সরকারের অপশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়া, মাদক ব্যবসার রমরমা, কৃষকদের আত্মহত্যার মতো বিষয়গুলি কংগ্রেস তুলে ধরবে বলেও কমলনাথ আশা প্রকাশ করেন।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, দলের সভানেত্রী কমলনাথের ইস্তফা গ্রহণ করেছেন।