হায়দরাবাদ: কলেজের হস্টেল থেকে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর বাবাকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে তেলঙ্গানার এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়। চাপে পড়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তাঁকে সঙ্গারেড্ডি জেলা পুলিশের সদর দফতরে মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, তিনি গত চার মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থতার বিষয়ে পরিবারকে কিছু জানানো হয়নি, চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়নি। পরীক্ষার বেশিদিন বাকি না থাকায় মেয়েটিকে বাড়িও পাঠানো হয়নি। সেই কারণেই তিনি চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী মঙ্গলবার বিকেলে হস্টেলের শৌচাগারে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় সরকারি হাসপাতালে। গতকাল সেখানে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ১০-১৫ জন সদস্য সহ আরও কয়েকজন গিয়ে জোর করে ভিতরে ঢুকে পড়েন। তাঁরা চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে মৃতদেহটি নিয়ে কলেজের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁদের বাধা দেন সেখানে থাকা পুলিশকর্মীরা। ধস্তাধস্তির মধ্যে মেয়েটির বাবা ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন। সেই সময়ই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে।

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেয়েটির পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যাঁরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন এবং পুলিশকর্মীদের কর্তব্যে বাধা দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।