মুম্বই: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর মামা তথা গীতাঞ্জলি গ্রুপের মালিক মেহুল চোস্কির বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। পিএনবি-র পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর দায়ের হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের সন্ধান দিতে ইন্টারপোলেরও দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পিএনবির পক্ষ থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর দায়ের হয়েছে। ওই অভিযোগ অনুসারে পিএনবির লোকসানের পরিমাণ ৪,৮৮৬ কোটি টাকা।
এদিনও সিবিআই মুম্বই, পুনে, সুরাত, জয়পুর, হায়দরাবাদ এবং কোয়াম্বাতোর সহ গীতাঞ্জলি গ্রুপের ২০ টি অফিসে তল্লাশি চালায়। সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, গীতাঞ্জলি গ্রুপের মেহুল চোস্কি ও অন্যান্য ডিরেক্টরদের মালিকানাধীন জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়।
অভিযোগ অভিযুক্ত পিএনবির আধিকারিকরা টাকা হস্তান্তরের জন্য লেটার অফ আন্ডারটেকিংস (এলওইউস) এবং ফরেন লেটার্স অফ ক্রেডিট ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিতে পাঠানোর জন্য অ-সরকারি ব্যক্তিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছেন। এগুলির মাধ্যমেই অভিযুক্ত কোম্পানিগুলির পণ্য সরবরাহকারীদের অর্থ চোকানো হয়েছে বা অভিযুক্ত কোম্পানিগুলির আর্থিক দায় মেটানো হয়েছে।
এই মামলায় অভিযুক্তদের সন্ধানের জন্য ডিফিউশন নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। কোনও একজনের অবস্থান চিহ্নিত করার জন্য এই নোটিশ জারি করা হয়।
সিবিআই আজকের মধ্যেই মোদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবস্থান জানা যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী।
মোদীর বিরুদ্ধে পিএনবি থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১১ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এভাবে জালিয়াতির পর তিনি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দেশ ছাড়েন।
মোদী ১ জানুয়ারি দেশ ছাড়েন। ওইদিন দেশ ছাড়েন তাঁর বেলজিয়ামের নাগরিক ভাই । ৪৬ বছরের মোদী মার্কিন নাগরিক স্ত্রী অমি ৬ জানুয়ারি দেশ ছাড়েন। মেহুল চস্কি ৪ জানুয়ারি বিদেশের বিমান ধরেন।
মোদী ও চোস্কির পাসপোর্ট বাতিলের আর্জি জানিয়ে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
রাষ্ট্রায়ত্ত পিএনবি-র ২৮০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে গত ৩১ জানুয়ারি মোদী, তাঁর স্ত্রী, ভাই ও মামা চোস্কির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। কিন্তু প্রথম অভিযোগের পক্ষকালের মধ্যেই ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে সিবিআইকে জানানো হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে এই লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।