মথুরা: উত্তরপ্রদেশের মথুরায় সরকারি জমি জবরদখল করে আন্দোলন-ধর্না। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে সেই জমি জবরদখলকারীদের হঠাতে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় পুলিশ সুপার-সহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। মথুরায় এধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তাই অবিলম্বে এই সংঘর্ষের নেপথ্যে কাদের উস্কানি রয়েছে, তা তদন্তে করে দেখা উচিত্ বলে মনে করেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। তারজন্যে তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন।


মথুরার সংঘর্ষে দুই পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর দাবি, দীর্ঘ দুবছর ধরে সরকারি ওই জমি দখল করে রেখে দিয়েছিল জবরদখলকারীরা। তাদের হঠাতে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি পরিচালিত অখিলেশ যাদব সরকার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দলের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রীকান্ত শর্মাকে মথুরা পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ইলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে, বৃহস্পতিবার মথুরার জওহরবাগ এলাকায় একটি সরকারি জমি থেকে জবরদখলকারিদের হঠাতে, উচ্ছেদ অভিযান চালায় পুলিশ। তখনই পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় প্রায় ৩ হাজার জবরদখলকারী। পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইটবৃষ্টিও শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এরপরই বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মৃত্যু হয় মথুরা শহরাঞ্চলের পুলিশ সুপার মুকুল দ্বিবেদী ও ফারাহ থানার স্টেশন হাউস অফিসার সন্তোষ কুমারের। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২২ জন বিক্ষোভকারীর।

আপাতত পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এই ঘটনায়, রাজ্য সরকারের রিপোর্টও তলব করেছে কেন্দ্র।